ছয় দিন পর মিয়ানমার থেকে আবার পশু আমদানি শুরু

ছয় দিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। টেকনাফ, কক্সবাজার, ৯ আগস্ট। ছবি: গিয়াস উদ্দিন
ছয় দিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। টেকনাফ, কক্সবাজার, ৯ আগস্ট। ছবি: গিয়াস উদ্দিন

বঙ্গোপসাগর শান্ত হওয়ায় ছয় দিন পর আজ শুক্রবার আবার মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডর দিয়ে শুক্রবার এক দিনেই এসেছে প্রায় ৩ হাজার পশু।

সাগর উত্তাল ও বিপৎসংকেত বহাল থাকায় ৩ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ ছিল। এর আগে ২৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৫ হাজার ৪৯৬টি পশু আমদানি করা হয়েছিল।

শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শাহপরীর দ্বীপ করিডরে ১৪টি কার্গো ট্রলারে করে মিয়ানমারের আকিয়াব থেকে ২ হাজার ৯৯৮টি গরু ও মহিষ এনেছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে গরুর সংখ্যা ২ হাজার ৬২৮ ও মহিষের সংখ্যা ৩৭০টি।

পশু ব্যবসায়ী নুরুল হক বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা দুই থেকে সাড়ে তিন মণ ওজনের প্রতিটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায়। একই ওজনের দেশি গরু কয়েক দিন আগে টেকনাফের বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। মিয়ানমার থেকে গরু আসায় স্থানীয় লোকজন কম দামে গরু কিনতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শুক্রবার এক দিনেই মিয়ানমার থেকে প্রায় ৩ হাজার পশু এসেছে। টেকনাফ, কক্সবাজার, ৯ আগস্ট। ছবি: গিয়াস উদ্দিন
শুক্রবার এক দিনেই মিয়ানমার থেকে প্রায় ৩ হাজার পশু এসেছে। টেকনাফ, কক্সবাজার, ৯ আগস্ট। ছবি: গিয়াস উদ্দিন

জানতে চাইলে টেকনাফ শুল্ক বিভাগের কাস্টমস সুপার মো. ময়েজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পশু আনার জন্য আমরা ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করছি। এত দিন সাগর উত্তাল থাকায় মিয়ানমার থেকে পশু আনা যায়নি। আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ পশুভর্তি ১৪টি কার্গো ট্রলার শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে এসে নোঙর করেছে। পশুগুলো খালাস করার কাজ চলছে। এরই মধ্যে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।’