ঈদের আগে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ভিড়

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

খাগড়াছড়ির সাজেক, আলুটিলা গুহা, রিচাং ঝরনা, মায়াবিনী লেক, জেলা পরিষদ পার্ককে ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ থাকে সারা বছর। ঈদুল আজহার এ লম্বা ছুটিতে তাই এই ব্যতিক্রম হয়নি। পাহাড় ধস, ডেঙ্গু থাকা সত্ত্বেও এ বছর ঈদের আগে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা। আগে থেকে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এ ছাড়া জেলার হাসপাতালগুলোতে নেওয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতি।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে তিন স্তরের পুলিশ থাকবে। তা ছাড়া সড়কে বাড়তি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার জেলা পরিষদ পার্ক ও মায়াবিনী লেকে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সের পর্যটকের ভিড়। ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা মায়াবিনী লেকে কথা হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. আরাফাত সিদ্দিক ও ফারিয়া জাহানের সঙ্গে। তাঁরা জানান, ঈদের আগে বেশির ভাগ হোটেল-মোটেল খালি হয়ে যাওয়ায় ছাড় পাওয়া যায়। তা ছাড়া ঈদের আগে এবার দুই দিন ছুটি, তাই ২২ জনের একটি দল নিয়ে ঘুরতে আসা।

আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, এবার ঈদের আগে থেকে পর্যটক আসা শুরু করেছে যা গত কয়েক বছর দেখা যায়নি। গত শুক্রবারে এসেছে প্রায় ৪০০ পর্যটক।

এ ছাড়া আজ শনিবার সাজেকে পর্যটকবাহী গাড়ি গেছে ২৬টি। পিকআপ মালিক সমিতির লাইনম্যান সৈকত চাকমা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে পর্যটক ও ঢাকা ফেরত অনেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে আসতে পারেন বলে একটা শঙ্কা আছে। তাই শহরের বিভিন্ন সড়ক, নালা-নর্দমা, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন স্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা থেকে পৌর এলাকায় ছিটানো হচ্ছে ওষুধ।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার কয়েক হাজার মানুষ ঢাকা ও চট্টগ্রামে বসবাস করেন। পর্যটক ছাড়াও তাঁরা ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসবেন। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

খাগড়াছড়ি জেলার সিভিল সার্জন মো. ঈদ্রিস মিয়া বলেন, জেলার হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলা হয়েছে। ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।