শেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ ঢনঢনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম তারা মিয়া (২২)। তিনি উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রসুল মিয়া (১৮)। তিনি একই গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে। হতাহত দুজন পাইলিং মিস্ত্রির কাজ করেন। আহত রসুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত রসুলের বক্তব্য সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক, আর্থিক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপজেলার কদমতলী গ্রামের সোলায়মানের ছেলে মাহফুজ মিয়ার সঙ্গে নিহত ও আহত যুবকদ্বয়ের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ঢনঢনিয়া গ্রামে মাহফুজের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা মিয়া ও রসুল মিয়ার ওপর হামলা করেন। এতে দুজনেই গুরুতর আহত হন।

পরে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবির সুমন তারা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত রসুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এঁরা হলেন উপজেলার কদমতলী গ্রামের আবু রায়হান (২৮), আল আমিন (২৫) ও মারুফা বেগম (৫০)।

আরএমও খাইরুল কবির বলেন, নিহত রতনের বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর আহত রসুলের বাম হাতে ও মুখে একাধিক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত তারা মিয়ার বাবা রতন মিয়া বাদী হয়ে মাহফুজ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ মাহফুজের মা মারুফা বেগমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধান আসামি মাহফুজসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

তবে মামলার প্রধান আসামি মাহফুজ পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।