সাত কিলোমিটারের জন্য বিছনাকান্দি যেতে দুর্ভোগ

সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকার পর্যটনকেন্দ্র বিছনাকান্দি যাওয়ার সড়ক ভাঙাচোরা। গত বৃহম্পতিবার দুপুরে তোলা ছবি।  প্রথম আলো
সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকার পর্যটনকেন্দ্র বিছনাকান্দি যাওয়ার সড়ক ভাঙাচোরা। গত বৃহম্পতিবার দুপুরে তোলা ছবি। প্রথম আলো

পাহাড়-জলের বিছনাকান্দির নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের ছুটিতে ছুটে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এবারও যাতায়াতের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। বিছনাকান্দিগামী সিলেট–হাদারপাড় সড়কের সাত কিলোমিটারে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

বিছনাকান্দির অবস্থান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়। সিলেট শহর থেকে দূরত্ব মাত্র ২৬ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সড়কপথে
আধা ঘণ্টা লাগার কথা। কিন্তু সড়কের কিছু অংশে ভাঙাচোরা থাকায় সেখানে পৌঁছতে দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগে। বিশেষত সড়কের বঙ্গবীর এলাকা থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়ক পুরোটাই বিধ্বস্ত। সড়কের বাকি অংশ এখন ভালো। 

মাসখানেক আগে বঙ্গবীর থেকে হাদারপাড় সড়কের পুনর্নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে, তবে সেই কাজ শেষ না হওয়ায় এখনো পর্যটক ও স্থানীয়দের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই থেকে আড়াই বছর ধরে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই অংশ বেহাল। নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে কেবল, তাই শিগগিরই দুর্ভোগ কমবে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের সাত কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অংশের নির্মাণকাজ মাসখানেক আগে শুরু হয়েছে। ফলে বঙ্গবীর থেকে রুস্তুমপুর পর্যন্ত অংশের মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে সেখানে ইট-বালু-পাথর ফেলে রাখা হয়েছে। আর পীরের বাজার থেকে হাদারপাড় পর্যন্ত অংশে এখনো নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এ কারণে ওই অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। কোথাও কোথাও গর্তগুলো কয়েক ফুট গভীর। কিছু এলাকায় ইট পর্যন্ত নেই। অনেক স্থান গ্রামের কাঁচা রাস্তার চেয়েও খারাপ। সেসব অংশে মাটি অনেকটাই দেবে রয়েছে।

বেহাল রাস্তা দিয়েই সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাতে এ সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে আছে। ফলে এই অংশ যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে এলজিইডি সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এস এম মহসিন প্রথম আলোকে জানান, সড়কটি সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। ধীরগতিতে নয়, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। যথাসময়ে কাজ শেষ হবে। এ সড়কটি পুনর্নির্মিত হলে পর্যটক ও স্থানীয়দের দুর্ভোগ স্থায়ীভাবে শেষ হয়ে যাবে।