পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের দুর্ভোগ

পাথর টপকে সৈকতে নামতে বেগ পেতে হচ্ছে পর্যটকদের। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, চট্টগ্রাম, ১৩ আগস্ট। ছবি: জুয়েল শীল
পাথর টপকে সৈকতে নামতে বেগ পেতে হচ্ছে পর্যটকদের। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, চট্টগ্রাম, ১৩ আগস্ট। ছবি: জুয়েল শীল

সকাল থেকেই আকাশ বেশ মেঘলা, থেমে থেমে চলছে বৃষ্টিও। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমিয়েছেন পর্যটকেরা। কিন্তু সৈকতে আসতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটকদের। খানাখন্দে ভরা সড়ক পেরিয়ে যেমন সৈকতে আসতে হচ্ছে, তেমনি সৈকতে নামতেও নিতে হচ্ছে ঝুঁকি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সৈকতে সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের পাঁচ কিলোমিটার এলাকাকে বেশ দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাথর ডিঙিয়ে সৈকতে নামার জন্য করা হয়নি কোনো সিঁড়ি। বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে এলোমেলো পাথরের ওপর দিয়েই সৈকতে নামতে হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী পর্যটকদের।

শহরের আগ্রাবাদ এলাকা থেকে ঘুরতে এসেছেন মোহাম্মদ মজিদ। তিনি বলেন, পতেঙ্গাকে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরেও পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সৈকতে আসা-যাওয়ার সড়কটি খানাখন্দে ভরা। ঝুঁকি নিয়ে পাথর ডিঙিয়ে শিশুদের নিয়ে সৈকতে নামতে হচ্ছে। সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হলে এই ঝুঁকি থাকত না।

সৈকতে নামার জন্য নেই কোনো সিঁড়ি। শিশুদের নিয়ে তাই ঝুঁকি নিয়েই সৈকতে নামতে হচ্ছে অভিভাবকদের। ছবি: জুয়েল শীল
সৈকতে নামার জন্য নেই কোনো সিঁড়ি। শিশুদের নিয়ে তাই ঝুঁকি নিয়েই সৈকতে নামতে হচ্ছে অভিভাবকদের। ছবি: জুয়েল শীল

জানতে চাইলে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া বলেন, সৈকতে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ বক্স বসানো হয়েছে, পর্যটক পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। দর্শনার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হবে।