বাজিতপুরে সংঘর্ষ-গুলি, নিহত ২

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। জনপ্রতিনিধিরা বলছে, ইয়াবা ব্যবসায় বাধা দেওয়ার জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার মাইজচরের শ্যামপুর পাড়ায় এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মো. শরীফ মিয়া (৩২) ও ফোরকান মিয়া (৩০)। শরীফ স্থানীয় ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার ছোট ভাই।

স্থানীয় ব্যক্তি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে মাইজচর গ্রামে ইয়াবা ব্যবসার একটি চক্র গড়ে তোলেন স্থানীয় ফারুক মিয়া ও তাঁর ছোট ভাই আনিস মিয়া। এই ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার মাইজচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাক্কার মিয়া। এ নিয়ে ফারুকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল বাক্কারের। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে বাক্কারের ছোট ভাই মো. মওলা ধান কিনে বাড়ি ফেরার পথে ফারুকের লোকজন তাঁকে ধাওয়া করেন। জানতে পেরে লোকজন নিয়ে ফারুকের বাড়িতে হামলা চালান বাক্কার। এ সময় ফারুক ও তাঁর লোকেরা গুলি ছুড়তে শুরু করলে অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান শরীফ ও ফোরকান।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকাকে ইয়াবামুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। সে কারণে শুরু থেকেই মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। ফারুক এই ইউনিয়নের অন্যতম বড় মাদক ব্যবসায়ী। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতেই আজ আমার ভাইকে হারাতে হলো।’

এদিকে ঘটনার পর থেকেই লোকজন নিয়ে এলাকা ছেড়ে গেছেন অভিযুক্ত ফারুক। মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

মাইজচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ইয়াবার বিস্তার বেড়েছে। ফারুকের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ আছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বাক্কার সব সময় এলাকাকে মাদকমুক্ত রাখতে চাইতেন।’

বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।