স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের মাধবকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে নিহত স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত ওই স্ত্রীর নাম মিনারা বেগম (৪৫)। অভিযুক্ত তাঁর স্বামী হলেন পারভেজ শিকদার (৫০)। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত মিনারা বেগম পেশায় কবিরাজ ছিলেন। তাঁর স্বামী পারভেজ শিকদার ছিলেন বেকার। তাঁদের দুটি মেয়ে আছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে, আর ছোট মেয়ে পরিবারের সঙ্গেই থাকে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে পারভেজ শিকদারের সঙ্গে মিনারা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী পারভেজ সংসারের জন্য কোনো টাকা রোজগার না করায় মিনারা নিজেই কবিরাজি শুরু করেন। কবিরাজির টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার চলছিল। স্বামী সংসারে কোনো খরচের টাকা দিতে না পারায় তাঁদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। বুধবার রাতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় মিনারার স্বামী ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যার পর তিনি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আর অসুস্থ অবস্থায় স্বামীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত মিনারার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত তিনটি কোপের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পারভেজকে পুলিশ পাহারায় কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারভেজ তাঁর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।