লার্ভা ধ্বংসে মুগদা মেডিকেলে পরিচ্ছন্নতা শুরু

রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশি পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর আজ শুক্রবার সেখানে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় ‘ঢাকা ও মুগদা মেডিকেলে খুব বেশি পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সরকারের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সর্বশেষ মশা জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খুব বেশি পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

একই প্রতিবেদন বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে এডিস মশা রয়েছে।

কীটতত্ত্ববিদেরা মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ শতাংশ পাত্রে (পরিত্যক্ত কৌটা, বোতল, বালতি, জগ, কার্নিশ ইত্যাদি) এডিস মশার লার্ভা পান।

৩১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা ঢাকার ১৪টি এলাকায় এ জরিপ করে। তারা বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পরীক্ষা করে দেখে। এর মধ্যে ১২টি জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ে লার্ভা পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, একটি এলাকায় ২০ শতাংশের বেশি পাত্রে লার্ভা পাওয়া গেলে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়।

৮০ শতাংশের বেশি পাত্রে লার্ভা পাওয়া যায় পাঁচটি স্থানে। এগুলো হচ্ছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো, কমলাপুর রেলওয়ে কলোনি, মহাখালী বাসটার্মিনাল ও শাহজাহানপুর বস্তি।

গাবতলী বাসটার্মিনাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিরপুর-১২-এর বিআরটিসি বাস ডিপোতে এডিস মশার ঝুঁকি একই পর্যায়ে। জরিপকারীরা দেখেছেন, এই তিন স্থানে ৬০-৮০ শতাংশ পাত্রে এডিসের লার্ভা আছে।