বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী

আনিসুল হক । ফাইল ছবি
আনিসুল হক । ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যে যেখানেই থাকুক, তাদের দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি একজন আমেরিকায় আরেকজন কানাডায় আছেন। আমেরিকায় যিনি আছেন, তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। কানাডায় যিনি আছেন, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে আইনি চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাকি চারজন কে-কোথায় আছেন, তাঁদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জন্মদিন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রত্যেকদিন জন্মদিন বদলায়। আজ যদি উনি জন্মদিন পালন করেন তাহলে তো এটা ৭৫ তম জন্মদিন হবে না, এটা হবে প্রথম জন্মদিন। আর ওনার এ রকম প্রথম জন্মদিন যে কত আছে...।’

আনিসুল হক বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান তৈরি করার জন্য চেষ্টা ছিল। প্রায় তৈরিও করা ফেলা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই গণতন্ত্রকে নিয়ে খেলা করলে তাঁদের আইনিভাবে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। ২০০১ সালে পর্যন্ত এ বিচার কার্যক্রম চলে। আবার ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেই বিচার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আহ্বান থাকবে বাংলাদেশে যেন এমন কাল রাত আর না আসে।’

পরে ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শহীদ বঙ্গবন্ধুসহ সবার রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পৌরসভার মেয়র ও যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া প্রমুখ।