রায়ের ২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় গৃহকর্তা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের দুই বছর পর শনিবার মধ্যরাতে তাঁকে সিলেট থেকে র‍্যাবের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে মাধবপুর থানা-পুলিশ। রোববার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম এরশাদ আলী (৩৮)। তাঁর বাড়ি মাধবপুর উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রামে।

মামলার এজাহার ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে মাধবপুর উপজেলার মনতলা মেরাশানি গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল রহমান নোমান ও ইমরুল মহসিনের বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এ সময় ইমরুল মহসিনের ছোট ভাই টিপু মহসিন ডাকাতদের বাধা দেন। এতে ডাকাতদের হামলায় নিহত হন মহসিন। এ ঘটনায় মহসিনের স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মাফরোজা পারভীন এই হত্যা মামলায় ৮ জনকে ফাঁসি ও ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এরশাদ আলী পলাতক ছিলেন।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, ‘এরশাদ আলী দুর্ধর্ষ ডাকাত। সে শুধু হত্যা মামলার একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নয়, তার বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় অসংখ্য চুরি-ডাকাতির মামলা রয়েছে।’