জাবিতে হোটেলমালিককে মারধরের অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক হোটেলমালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার সুজন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ক্যাটারিং সার্ভিস নামের হোটেলে আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রলীগের কর্মী সুমন জোয়ারদারের বিরুদ্ধে ওই মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সুমন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী বলে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আজ বিকেলে সুমন জোয়ারদার তাঁর বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সুজন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ক্যাটারিং সার্ভিসে যান। এ সময় তিনি হোটেলের মালিক মো. সুজনকে বাইরে থেকে আনা মাংস গরম করে দিতে বলেন। সুজন এতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান সুমন। কিছুক্ষণ পর সুমন ছাত্রলীগের ৭-৮ জন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আবার ওই হোটেলে যান। এরপর কাঠের টুকরো দিয়ে সুজনকে মারধর করেন তাঁরা।

মারধরের শিকার হোটেলমালিক মো. সুজন বলেন, ‘সুমন বাইরে থেকে আনা মাংস গরম করে দিতে বলেন। ততক্ষণে চুলা গুছিয়ে ফেলেছি বলে গরম করে দিতে পারব না বলে জানাই। খাওয়া শেষ করে বান্ধবীকে নিয়ে চলে যান তিনি। পরে হলের কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে এসে কাঠের টুকরো দিয়ে আমাকে মারধর করেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন জোয়ারদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বারবার অনুরোধ করার পরও মাংস গরম করে না দেওয়ায় রেগে গিয়েছিলাম। তারপর যা করার তা-ই করেছি।’

এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে মাত্র জানতে পারলাম। এমন ঘটনা দুঃখজনক। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। মারধরের ঘটনা ঘটলে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’