ঢাকা মেডিকেল: প্যাথলজি বিভাগে স্টাফ-নার্স সংঘর্ষ, আহত ১২

প্যাথলজির রিপোর্ট নেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে স্টাফ ও নার্সদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।


হাসপাতালের নতুন ভবনের প্যাথলজি বিভাগে দুদফা সংঘর্ষ হয়। পরে আবার পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

প্যাথলজি বিভাগের এক স্টাফ ফয়েজ বলেন, ‘দুপুর আনুমানিক একটার দিকে কয়েকজন নার্স নিজেদের পরিচয় না দিয়ে প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট নেওয়ার জন্য আসে। তারা লাইনে না দাঁড়িয়ে রিপোর্ট চায়। এতে একটু দেরি হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর আক্রমণ করে। তখন সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আজিজ আহমেদ খান বলেন, ‘গন্ডগোল শুনে এগিয়ে গেলে আমার ওপরও তারা চওড়া হয়। পরে তারা চলে যায়, পরক্ষণে তারা আরও দলবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। নার্স নূর মোহাম্মদ ও ইমরানের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। এর পেছনে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান জুয়েলের ইন্ধন আছে বলে জেনেছি।’

আজিজ আহমেদ খান বলেন, ‘এখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই ব্যস্ত থাকি। রিপোর্টের জন্য দীর্ঘ সারি ধরে থাকে মানুষ। নাম ঘোষণা অনুযায়ী রিপোর্ট নিতে হয়। তবে নার্সরা সেই নিয়ম না মেনে আজ রিপোর্ট চান। আর এর ফলেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। সেখানে গিয়ে আমি কাউকে পাইনি।’

নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল পাটোয়ারী বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের কয়েকজন নার্সকে তাঁরা আটক করে মারধর করেন। পরে তাদের স্টাফরা দফায় দফায় হামলা চালায়।’

এ ঘটনার পর সমঝোতা বৈঠক বসে। নার্স ও স্টাফ দুপক্ষের কয়েকজন নেতা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘প্যাথলজি বিভাগে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। এটা ভুল-বোঝাবুঝির জন্য হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতা করে দিয়েছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এতে যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’