ঢাকা উত্তরে মশা মারতে 'চিরুনি অভিযান'

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার পাশাপাশি বাড়িঘর ও এলাকা পরিচ্ছন্ন করতে বিশেষ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এই অভিযান চলাকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। বিশেষ এই অভিযানকে ‘চিরুনি অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন সংস্থার মেয়র।

আগামীকাল মঙ্গলবার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে এই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এই অঞ্চলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান এই কাজে লোকবল নিয়োগ দেবেন।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ১০ দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা, পরিচ্ছন্নতা এবং এলাকার মানুষকে সচেতন করার কাজ করবে ডিএনসিসির প্রতিনিধিদল। এ কাজে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পাশাপাশি এলাকার প্রবীণ ও পরিচিত বাসিন্দা, বাড়ির মালিক ও ভাড়াটেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডিএনসিসির এই কর্মসূচিতে একটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করা হবে। এই ১০টি ভাগকে আরও ১০টি সাব–ব্লকে ভাগ করা হবে। প্রত্যেক সাব–ব্লকে থাকবেন একজন দলনেতা। তাঁর অধীনে কাজ করবেন অন্তত ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা দলনেতাসহ লোকবল ঠিক করে দেবেন।

দলনেতাদের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাবেন। যে বাড়িতে মশার প্রজননস্থল পাওয়া যাবে, সেখানে স্টিকার লাগিয়ে সতর্ক দেওয়া হবে। সপ্তাহখানেক পর সে বাড়িতে গিয়ে আবার পরিস্থিতি দেখা হবে। অভিযানে কোনো বাণিজ্যিক ভবন বা প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তাদের জরিমানা করা হবে। আর আবাসিক ভবনে দ্বিতীয়বার গিয়ে মশার প্রজননস্থল পেলে জরিমানা করার পরিকল্পনা আছে ডিএনসিসির।

এই কাজে এলাকার মানুষকে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে ডিএনসিসি।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতার জন্য এবং এডিসের লার্ভা ধ্বংস করতে এই চিরুনি অভিযান চলবে। এই অভিযানের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকাকে আমরা পরিচ্ছন্ন করতে চাই।’

মেয়র জানান, পুরোনো ৩৬টি ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও লার্ভা ধ্বংসের বিশেষ কর্মসূচি শুরু করা হবে। এগুলোতে কাজের অগ্রগতি দেখে পর্যায়ক্রমে নতুন সব ওয়ার্ডে এই পদ্ধতিতে কাজ করা হবে।