'চিঠিটি নুসরাতের হাতের লেখা ছিল'

নুসরাত জাহান
নুসরাত জাহান

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের মৃত্যুর আগে তাঁর দুই বান্ধবী বিবি জাহেদা তামান্না ও তানজিনা বেগম সাথীকে উদ্দেশ করে একটি চিঠি খাতায় লিখে যান। তাঁর মৃত্যুর পর ওই চিঠি পরীক্ষা করেন সিআইডির হস্তলিপিবিশারদ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম। তাতে প্রতিস্বাক্ষর ছিল সিআইডির উপপরিদর্শক রনজিৎ সরকারের।

গতকাল রোববার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে এসআই রনজিৎ সরকার এই সাক্ষ্য দেন। তিনি আদালতে বলেন, সিআইডির হস্তলিপিবিশারদ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম ওই চিঠিটি নুসরাতের বলে মতামত দেন। তাতে তিনি প্রতিস্বাক্ষর দেন। গতকাল আদালতে চিঠিটি রনজিৎ সরকারকে আবার দেখানো হয়। প্রতিস্বাক্ষর তাঁর বলে তিনি আদালতকে জানান। 

আদালত সূত্র জানায়, হস্তলিপিবিশারদ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে আছেন। ফলে গতকাল তিনি সাক্ষ্য দিতে পারেননি। আদালতে সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, মৃত্যুর আগে দুই বান্ধবী তামান্না ও সাথীকে উদ্দেশ করে চিঠিটি লেখেন নুসরাত। তাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার অপকর্মের বিষয়টি ফুটে ওঠে। কীভাবে অধ্যক্ষ শ্লীলতাহানি করেন সেই চিত্র তুলে ধরেন নুসরাত। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২৭ মার্চ নুসরাতের শ্লীলতাহানি ও অধ্যক্ষ সিরাজ গ্রেপ্তার হওয়ার এক দিন বা দুদিন পর এই চিঠিটি লেখেন নুসরাত।