নকশা অনুমোদনে অনিয়মের অভিযোগ, কেডিএতে অভিযান

খুলনা নগরের টুটপাড়া এলাকায় একটি ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ওই অভিযান চলে। 

দুদক বলছে, সংস্থার অভিযোগকেন্দ্রে (১০৬) অভিযোগ পেয়ে ওই অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ আসে, কেডিএ ভবনের নকশা অনুমোদন ও ভবন নির্মাণে নকশা অনুসরণ করছে না।

অভিযানের সময় কেডিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ছাড়া ভবনের অনুমোদিত নকশা নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনে গিয়েও এর সঙ্গে মিল খুঁজে পাননি দুদক কর্মকর্তারা।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, নগরের পশ্চিম টুটপাড়া এলাকায় একটি ভবনের নকশা অনুমোদনে অনিয়ম হয়েছে। অনিয়মের মাধ্যমে নকশা নিয়েও সেই নকশা অনুযায়ী কাজ করা হয়নি। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা অনুসন্ধান করছেন। কিন্তু এর নথি খুঁজে বের করতে তাঁদের দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১টার সময় নথি দিলে তাঁরা সে অনুযায়ী পশ্চিম টুটপাড়া এলাকার ওই বাড়িতে যান।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁরা অভিযুক্ত কর্মকর্তার বক্তব্য নিয়েছেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অনুমোদিত নকশার সঙ্গে নির্মাণাধীন ভবনের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। নকশায় যেটুকু জায়গা ছাড়ার কথা ছিল তা ছাড়া হয়নি। ভবনের নকশা অনুমোদনের পর বিষয়টি তদারকির দায়িত্ব ছিল কেডিএর। কিন্তু তারা সেটি করেনি। নকশা অনুমোদনের বিষয়টি তদন্তে আরও সময় লাগবে।

কেডিএ চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের অনুমতি চেয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান দুদকের ওই কর্মকর্তা।

তবে কেডিএর উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ হোসেন বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের আওতায় বিভিন্ন স্থাপনা সংস্কার ও মেরামত করা তাঁর কাজ। ভবনের নকশা অনুমোদন বা তদারকির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। নকশা অনিয়মে তাঁকে কেন অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তা তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না।

কেডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামীম জেহাদ বলেন, নকশা অনুমোদনে কোনো অনিয়ম হয়নি। নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ না করায় কেডিএ ওই ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে মালিকপক্ষকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেই নোটিশের শুনানি এখনো চলছে বলে জানান তিনি।