বঙ্গবন্ধু হত্যা: ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্ত করতে কমিশন গঠনে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত

বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে তেজগাঁও এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ঢাকা, ১৯ আগস্ট। ছবি: পিআইডি
বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে তেজগাঁও এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ঢাকা, ১৯ আগস্ট। ছবি: পিআইডি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্ত করতে একটি কমিশন গঠন করতে সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের মধ্যে উন্নত খাবার পরিবেশনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই কমিশন হবে অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কমিশন একটি গুরুদায়িত্ব পালন করবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈঠকে বসে কমিশনের কর্মপরিধি নির্ধারণের পাশাপাশি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্য মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেবেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একার পক্ষে এই কমিশন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়, ফলে আমি খুব শিগগির বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলব এবং যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেব।’

একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার এই মামলার পলাতক সব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। ফলে তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তারা নিজামী ও মুজাহিদদের মতো লোকদের মন্ত্রী বানিয়েছে। শাহ্ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল। এখন তারা বিদেশি শক্তির কাছে অভিযোগ করার হুমকি দিচ্ছে।

এর আগে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করতে শিশুদের পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে আইন বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।