ছাত্রদলের দুই পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেকে বিবাহিত

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র নেওয়া ১১০ প্রার্থীর মধ্যে ১০ থেকে ১২ জন বিবাহিত বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবার ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে যে কটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তার মধ্যে অবিবাহিত হওয়া উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া প্রার্থীকে অবশ্যই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র হতে হবে এবং ২০০০ সালে এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থীকে ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট হবে। গত শনি ও রোববার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর গতকাল সোমবার প্রথম দিনে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যরা আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানা গেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ১১০ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৪৪ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন ৬৬ জন। এবার সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন নারী প্রার্থী রয়েছেন।

জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ডালিয়া রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নারীদের ব্যাপারে বাজে গুজব ছড়ানোটা সহজ। মাঝেমধ্যে এমন সব গুজব শুনি, তাতে খুব বিব্রত হই, লজ্জা পাই। এটাও বোধ হয় ভোটের আগে নির্বাচনী মাঠের একটা লড়াই।’

ইতিমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সাবেক ছাত্রদল নেতা খায়রুল কবিরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ফজলুল হকের নেতৃত্বে পাঁচজনের বাছাই কমিটি এবং শামসুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আপিল কমিটির প্রধান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেন, ‘এবার আমরা দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি। একটি ছাত্রত্ব, অন্যটি অবিবাহিত। বাছাই কমিটি দুটি বিষয়ে কাগজপত্র চাইবে।’