নাট-বল্টু চুরি, রেললাইনে চলাচলে ঝুঁকি

রেললাইনের নাট-বল্টু ও ডগস্পাই চুরি হয়ে গেছে। গতকাল মির্জাপুর রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশের পয়েন্টে।  ছবি: প্রথম আলো
রেললাইনের নাট-বল্টু ও ডগস্পাই চুরি হয়ে গেছে। গতকাল মির্জাপুর রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশের পয়েন্টে। ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু সেতু রেলসংযোগ সড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রেললাইনের বিভিন্ন স্থান থেকে নাট-বল্টু ও ডগস্পাই চুরি হয়ে যাচ্ছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্রমতে, ২০০৩ সালের জুন মাসে এই সড়কে রেল চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে সড়কটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ ১৭টি ট্রেন উভয়মুখী চলাচল করে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী বিরতিহীন আন্তনগর বনলতা এক্সপ্রেস, বেনাপোল-ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড়-ঢাকায় স্বল্পবিরতির পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন রয়েছে। এ ছাড়া খুলনা-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন আন্তনগর সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকায় সিল্কসিটি, ধূমকেতু ও পদ্মা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়-দিনাজপুর-ঢাকায় দ্রুতযান ও একতা, লালমনিরহাট-ঢাকায় লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর-ঢাকায় রংপুর এক্সপ্রেস, নীলফামারী-ঢাকায় নীলসাগর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ-ঢাকায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে। তা ছাড়া রাজশাহী এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ও টাঙ্গাইল কমিউটার নামে একটি কমিউটার ট্রেনও উভয়মুখী চলে।

গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মির্জাপুর রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের পয়েন্টের (লাইন ভাগ হয়ে যাওয়ার স্থান) উভয় পাশের লাইনগুলো থেকে নাট-বল্টু ও ডগস্পাই (দেখতে কুকুরের মুখের মতো, যা কাঠের স্লিপারের মধ্যে লাইন আটকানোর জন্য ব্যবহৃত হয়) কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। হেঁটে আরও পশ্চিম দিকে গিয়ে দেখা যায়, সিমেন্টের স্লিপারে সঙ্গে আটকানো রেললাইনের অধিকাংশ নাট–বল্টু নেই। আর পূর্ব দিকে কাঠের স্লিপারের সঙ্গে আটকানো লাইনের ডগস্পাইও চুরি হয়েছে।

মির্জাপুর বাজারের ব্যবসায়ী কাবেল মিয়া বলেন, রেললাইন আটকানোর জন্য ব্যবহৃত নাট-বল্টু আর ডগস্পাই মাদকসেবীরা চুরি করে বিক্রি করে দিতে পারে। এখন ঝুঁকি নিয়ে সড়কটিতে ট্রেন চলাচল করছে। অথচ কর্তৃপক্ষের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই।

মির্জাপুর রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার কামরুল হাসান বলেন, বিষয়টি রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ দেখে থাকে। ফোনে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী নাজিব কায়সার বলেন, তিনি রেললাইন পরিদর্শন করেছেন। যেসব স্থানের লাইনগুলোর নাট-বল্টু ও ডগস্পাই নেই,, সেখানে দ্রুততম সময়ে তা লাগানো হবে।