বর্ষাকালে ৩ মাস পানির নিচে থাকে রাস্তাটি

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বর্ষা এলেই তলিয়ে যায়। গত বুধবারের ছবি।  প্রথম আলো
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বর্ষা এলেই তলিয়ে যায়। গত বুধবারের ছবি। প্রথম আলো

বর্ষকালে বাসাইল উপজেলা সদরের সঙ্গে ফুলকি ইউনিয়নের যোগাযোগের রাস্তাটি প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ কারণে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ। তখন ইউনিয়নের মানুষকে টাঙ্গাইল শহর হয়ে বাসাইল সদরে যেতে হয়। এতে সময় ও অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি দুর্ভোগ বেড়ে যায়।

বাসাইল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ফুলকি ইউনিয়নের অবস্থান। বাসাইলের কাশিল ইউনিয়নের বটতলা থেকে ঝনঝনিয়া হয়ে আইশরা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি ফুলকি ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করে। এ ইউনিয়নের ২২ গ্রামের মানুষসহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষের বাসাইল উপজেলা সদরে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া কালিহাতী উপজেলার বল্লা ও পাইকড়া ইউনিয়নের তাঁতপল্লিগুলোর মানুষ এ রাস্তা দিয়ে করটিয়ার হাটে কাপড় বেচাকেনা করতে যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বর্ষা এলেই সড়কের কাশিল ইউনিয়নের করটিয়াপাড়া মোড় থেকে ফুলকি ইউনিয়নের ময়থা গাছপাড়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে যায়। এ বছরও বর্ষার শুরুতেই সড়কটি তলিয়ে যায়। এখন পানি কমায় কিছু অংশে রাস্তা জেগে উঠলেও অন্তত চারটি স্থান রয়েছে পানির নিচে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অন্তত তিন মাস এ সড়ক তলিয়ে থাকে। এতে রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় যেখানে পানি কম, সেই অংশ পর্যন্ত দু-একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও ফুলকি ইউনিয়নের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ওই ইউনিয়নের তিরঞ্জ গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে তাঁদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্বাভাবিক সময়ে ফুলকি থেকে ২৫ মিনিটে উপজেলা সদরে পৌঁছানো যায়। আর এখন টাঙ্গাইল শহর ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগছে।

ঝনঝনিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী খান বলেন, এ রাস্তা চালু থাকলে মাত্র ৩৫ টাকা ভাড়ায় বাসাইল পৌঁছানো যায়। কিন্তু এখন টাঙ্গাইল শহর হয়ে বাসাইল যেতে এক শ টাকা খরচ হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি উঁচু করা না হলে প্রতিবছর ফুলকি ইউনিয়নবাসীকে এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য তিনি উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় দাবি জানিয়েছেন।

বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, এ রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এটি বরাদ্দ হওয়ার পরেই আগামী শুকনো মৌসুমে এর উন্নয়নকাজ শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।