'সরকার ফর দ্য লুটেরাস, বাই দ্য লুটেরাস অব দ্য লুটেরাস'

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চামড়াশিল্পের অবস্থা নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এ সরকার ফর দ্য লুটেরাস, বাই দ্য লুটেরাস, অব দ্য লুটেরাস।’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আমার দেশে আমার শিল্প’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার এর আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল চামড়া ব্যবসায়ী ক্রিসেন্ট গ্রুপের জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, এবার ব্যাংক ঋণ দেয়নি। জনতা ব্যাংকে থেকে নেওয়া বিশেষ একটা প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপের ঘটনায় ঋণ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠান বহু টাকা বের করে নিয়ে গেছে। আর এ জিনিসগুলোর সমাধান বর্তমান সরকারকে দিয়ে হবে না। ফখরুল বলেন, ‘এ সরকার হয়ে গেছে ফর দ্য লুটেরাস, বাই দ্য লুটেরাস, অব দ্য লুটেরাস। এখানে লুট ছাড়া কিছু নেই। সব পর্যায়ে লুটপাট চলছে।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পূর্বশর্ত হচ্ছে সমৃদ্ধ শিল্প। সে রকম শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়। পোশাকশিল্পে জিয়াউর রহমানের অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

চামড়াশিল্প চরম বিপাকের মধ্যে পড়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে চামড়া নিয়ে যা হয়েছে, তাতে এতিমেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ট্যানারি হাব স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে নতুন এক অধ্যায় তৈরি হয়েছে বলে জানান।

দেশের চামড়াশিল্পের সমস্যা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সময়মতো চামড়া বিক্রি না করা, হঠাৎ করে কাঁচা চামড়া রপ্তানির ঘোষণা, ট্যানারিগুলো বন্ধ করে দিয়ে চামড়াশিল্পের ভবিষ্যৎ নষ্ট করা হয়েছে। সাভারে যেটা করা হয়েছে, সেখানে ট্যানারিগুলো স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা নেই। ট্যানারি শিল্প মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে। সরকার ট্যানারিগুলোর জন্য কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।

বিএনপি নেতা ফখরুল আরও বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে কোনো উপায় নেই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনায় বলেন, তাঁদের ব্যর্থতার দায় নিতে হবে বিএনপিকে! দেশে সরকার নেই। সরকার থাকলে চামড়ার এ অবস্থা হয় না। ডেঙ্গুতে অসহায় মৃত্যু হয় না। ব্যাংকের টাকা চুরি হওয়ার কথা না। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরও ব্যর্থতা আছে। কার্যকর বিরোধিতা গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীকে পাশে নিয়ে যে আন্দোলন আমাদের গড়ে তোলার দরকার ছিল, সেটা হয়তোবা করতে পারিনি।’


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের লোকেরা মানুষের সমস্যা নিয়ে যে রসিকতা করে তা নিয়েই মানুষ আলোচনা করে বিনোদন পায়।

ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক বাবুল তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টি এস আইয়ুব।