আয়শার জামিন কেন নয়: হাইকোর্ট

আয়শা সিদ্দিকা। ফাইল ছবি
আয়শা সিদ্দিকা। ফাইল ছবি

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার নথিপত্রসহ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জামিন প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য ২৮ আগস্ট দিন রেখেছেন আদালত।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই আদেশ দেন।

আয়শা সিদ্দিকা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার আগে বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) গত ১৮ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে রিফাত হত্যায় আয়শার সংশ্লিষ্টতার কথা তিনি সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে এসপির লিখিত বক্তব্য চেয়েছেন আদালত।

আয়শাকে পুলিশ লাইনসে নেওয়া, জিজ্ঞাসাবাদ, আসামি করা ও তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির আগে সম্পৃক্ততা নিয়ে এসপির প্রেস ব্রিফিং-সংক্রান্ত তথ্য জানাতে গতকাল সোমবার বলেছিলেন হাইকোর্ট। দিনক্ষণ উল্লেখ করে এসব তথ্য সম্পূরক আবেদন আকারে আজ মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করতে আয়শার আইনজীবীকে বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে আদালত আজ শুনানির পরবর্তী সময় নির্ধারণ করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বেলা দুইটায় শুনানি হয়।

বরগুনার আদালতে ওই মামলায় দুই ধাপে বিফল হয়ে ৪ আগস্ট আয়শার জামিন চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ৮ আগস্ট রুল দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে আয়শার আইনজীবীরা জামিন আবেদনটি ফেরত নেন।

পরে গত রোববার আরেক বেঞ্চে জামিন আবেদন দাখিল করা হয়। এর ওপর গতকাল শুনানি হয়। আদালতে আয়শার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মঈনুল ইসলাম, মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ ওরফে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী তাঁকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছেন। ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ হন তাঁরা। ঘটনার পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরপর গত ২ জুলাই নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।