অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর, গর্ভপাতের অভিযোগে কারাগারে স্বামী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে গর্ভপাতের অভিযোগে স্বামী ইসমাইল হোসেনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে সখীপুরের শৌখিন মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার বিকেলেই স্ত্রী নাজমুন্নাহার বাদী হয়ে ইসমাইলের বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি ইসমাইল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার তেজপুর গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই ক্রমাগত যৌতুক দাবি করে আসছিলেন ইসমাইল। নাজমুন্নাহারের বাড়ি থেকে এরই মধ্যে তাঁকে দুটি মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছে। পরে ৮ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশেও পাঠানো হয়। ছয় মাস বিদেশে থেকে দেশে চলে আসেন তিনি। দেশে এসে আবার ২ লাখ টাকা যৌতুক চান। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় প্রায়ই নাজমুন্নাহারকে মারধর করতেন ইসমাইল। ১৫ আগস্ট বিকেলে নাজমুন্নাহারকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন ইসমাইল। একপর্যায়ে তলপেটে লাথি মারলে নাজমুন্নাহার অচেতন হয়ে পড়েন। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে দুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাজমুন্নাহারের মা কোহিনুর বেগম বলেন, ‘যৌতুক না দেওয়ায় ইসমাইল প্রায়ই আমার মেয়েকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। পেটে লাথি মারায় আমার মেয়ের গর্ভপাত হয়েছে।’

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গর্ভপাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। যৌতুক দাবি ও ভ্রূণ নষ্ট করায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আসামি ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।