মাদারীপুরে ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে ২ মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই বখাটের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার ভোরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দুজনকে জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১১টায় দিকে সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সদর থানায় অভিযুক্ত মাসুদ মোড়ল (৩০) ও রুবেল মোল্লাকে (১৮) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। এর আগেই সকালে মাসুদ ও রুবেলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে।

সদরের আঙ্গুলকাটা তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ওহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোরে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনে আমরা ওই দুই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে তাদের ভাষ্য অনুসারে আমরা অভিযুক্ত মাসুদ মোড়ল ও রুবেল মোল্লাকে আটক করি।’

পুলিশ ও স্বজনেরা জানায়, গতকাল দুপুরে শহরে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী। তার সঙ্গে ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির আরেক ছাত্রী। তারা দুজন আত্মীয়। বেড়ানো শেষে শহরে কেনাকাটা করে রাত ১০টার দিকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রলারে ওঠে তারা। তাদের ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। আজ ভোরে স্থানীয়রা নামাজ আদায় করতে বের হয়ে ওই দুই মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।’

অভিযুক্ত দুজনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। মাসুদের বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রুবেলের বাবা নান্নু মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, ‘মাসুদের সঙ্গে আমার ছেলে চলাফেরা করত। কিন্তু ওই রাতে মাসুদের সঙ্গে আমার ছেলে ছিল না। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।’

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ দুপুর ৩টার দিকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটির বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে।’