কলেজ খোলার পর ছাত্রাবাস খোলার সিদ্ধান্ত

১৮ দিন পর আগামী ২৫ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ খুলছে। কিন্তু কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হলেও কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হতে পারে, এই আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ কলেজের ছাত্রাবাস খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হবে।

গত ৫ আগস্ট রাতে ছাত্রাবাসের কক্ষের দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। এদের এক পক্ষ ছিল বহিরাগতদের পক্ষে, অন্যটি আবাসিক ছাত্রদের পক্ষে। উত্তেজনাকর এই পরিস্থিতির মুখে পরদিন ৬ আগস্ট ছাত্রাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দিনই পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রাবাস দখলমুক্ত করা হয়।

ছাত্রাবাস খোলার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র চন্দ জানান, ছাত্রাবাস বন্ধ রেখেই কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, কলেজে খোলার পর একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ছাত্রাবাস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

এমসি কলেজ ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত। এরপর ১৯২০ সালে নগরীর টিলাগড় এলাকায় ছয় একর জমির ওপর ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালের ৮ জুলাই ছাত্রলীগ ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের সংঘর্ষের জের ধরে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছিল ছাত্রাবাসের ৪২টি কক্ষ। ঘটনার পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের প্রচেষ্টায় ছাত্রাবাস আগের কাঠামোয় ফিরে আসে। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী পুনর্নির্মিত ছাত্রাবাস উদ্বোধন করেন।

এ ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালের ১৩ জুলাই ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে ছাত্রাবাস ভাঙচুর করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর ওই বছরে ২৯ জুলাই ছাত্রাবাস খোলা হয়। অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুর ঘটনার পর থেকে ছাত্রাবাসে আবাসিক ছাত্রদের বসবাস এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগ।