ফেসবুকে ছাত্রীর স্ট্যাটাস নিয়ে তদন্তে পুলিশ

ফেসবুক
ফেসবুক

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ছাত্রীর ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্ট্যাটাসে ওই ছাত্রী দাবি করেছেন, অটোরিকশার মধ্যে চার ‘গুন্ডা তার শরীর স্পর্শ করে। এবং একপর্যায়ে অটোরিকশা থেকে তাঁকে ফেলে দেয়।’

মঙ্গলবার সারা দিন পুলিশ এই ঘটনার কোনো কিনারা করতে পারেনি।

ওই ছাত্রী গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে এক স্ট্যাটাস দেন। এতে ওই দিন দুপুরে রুয়েট থেকে অটোরিকশায় তাঁর উপশহরের বাসায় ফেরার সময় এই যৌন হয়রানির শিকার হন বলে দাবি করেছেন। এতে তিনি বলেছেন, রুয়েট থেকে তিনি একটি অটোরিকশায় ওঠেন। এতে রুয়েটের আরও দুজন ছাত্র তাঁর সহযাত্রী ছিলেন। অন্য আরও একজন যাত্রী ছিলেন। কিছু দূর যাওয়ার পর ওই দুই ছাত্র নেমে যান। নগরের ভদ্রা এলাকা পার হয়ে কিছু দূর যাওয়ার পরে চালক অটোরিকশা থামিয়ে দেন। নিজস্ব লোক তোলার কথা বলে চালক তাঁর সামনে থাকা যাত্রীকেও নামিয়ে দেন। এরপর তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারজন গুন্ডা অটোরিকশায় ওঠে। গাড়ি চলতে শুরু করে। ভদ্রা থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি নির্জন থাকায় ওই চারজন তাঁর শরীর স্পর্শ করা শুরু করে। নগর ভবনের সামনে পুলিশ দেখে গুন্ডারা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তিনি যখন উঠে দাঁড়াতে পারেন তখন অটোরিকশাটি অনেক দূরে চলে গেছে।

স্ট্যাটাসে ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘কাহিনিটা শুধু শেয়ার করলাম। এইটা বাংলাদেশ, কোনো বিচারের আশা আমি করছি না।’ এই স্ট্যাটাসটি পরে ফেসবুক আইডি থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার আবু আহমেদ আল মামুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটির মাকেসহ তাঁরা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা মামলা, এমনকি একটি সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত করতে রাজি হননি। ঘটনার যা বর্ণনা তিনি দিয়েছেন, তাতে এ রকম ঘটনা ঘটতেও পারে। পুলিশ বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে।