ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে মায়ের বঁটির আঘাতে কিশোর আহত

ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল কিশোর সাকিব (১৪)। ছুটি শেষে আজ বুধবার তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তাঁর আগেই মায়ের বঁটির কোপে গুরুতর আহত হয়েছে সে—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সাকিবের মা মানসিকভাবে অসুস্থ।

আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার তারাউজিয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মন্নু মিয়া ও মনিলা বেগমের ছেলে সাকিব।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা বলেন, আজ সকাল ছয়টার দিকে চিৎকার শুনে সাকিবের ঘরে গিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাকিবকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাকিবের বাবা মন্নু মিয়া বলেন, বরিশালে বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করছে সাকিব। সে সেখানকার একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। আজ বোনের সঙ্গে বরিশালে চলে যাওয়ার কথা ছিল তার।

মন্নু মিয়া আরও বলেন, তাঁর স্ত্রী মনিলা বেগম সাত থেকে আট বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। এর আগে তিনি তাঁকেও কুপিয়ে জখম করেছিলেন। কিছুদিন আগে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষিৎ পাল জানিয়েছেন, সাকিবের গলায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি সাকিবের মায়ের হাতেই ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কী কারণে তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নারী অসংলগ্ন উত্তর দিয়েছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মনিলা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।