রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের আহ্বান বেসরকারি সংস্থাগুলোর

কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে উঁচু পাহাড় কেটে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা বসতি। গত রোববার বিকেলে তোলা ছবি।  প্রথম আলো
কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে উঁচু পাহাড় কেটে তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা বসতি। গত রোববার বিকেলে তোলা ছবি। প্রথম আলো

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সাম্প্রতিক খবরে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। ফলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

বুধবার বাংলাদেশে কর্মরত স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ৬১টি বেসরকারি সংস্থা যৌথ বিবৃতিতে জানায়, প্রত্যাবাসনের খবরে রোহিঙ্গারা উদ্বিগ্ন এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ খুবই কম। ভবিষ্যৎ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে না।

এদিকে ২২ আগস্ট ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের কথা রয়েছে। এ অবস্থায় নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিতের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাগুলো।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে এখনো রোহিঙ্গাদের চলাচলের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে কোনো অর্থপূর্ণ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বাস্তুচ্যুত কমিউনিটির সঙ্গে আলোচনার পরিসর খুবই সীমিত। সেখানে মানবাধিকার সংস্থার প্রবেশাধিকার কম।

রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সব সম্প্রদায় যাতে নিরাপদে থাকতে পারে এবং প্রাথমিক পরিষেবা ও জীবিকার সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে, তা মিয়ানমার সরকারের নিশ্চিত করা উচিত বলে জানায় এসব বেসরকারি সংস্থা।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষা করা, শিক্ষা, জীবিকা ও সুরক্ষায় রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে সহায়তা করা এবং মধ্যম বা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে সংস্থাগুলো।