ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন শিশু দুটি কার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন পরিচয়হীন শিশু। ছবি: আমিনুল ইসলাম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন পরিচয়হীন শিশু। ছবি: আমিনুল ইসলাম

পরিচয়হীন দুই শিশু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন। নিউরোসার্জারি বিভাগের অধীনে ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার রাত আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে ওই দুই শিশুকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। তারা কথাও ঠিকমতো বলতে পারছে না। কিছুক্ষণ পরপর ব্যথায় ছটফট করছিল তারা। নার্স, অন্য রোগী ও তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৃথক ঘটনায় আহত অবস্থায় পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রেখে গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১০ আগস্ট রাতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে আহত অবস্থায় এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ থেকে এক শিশু পড়ে গেছে—এমন খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। শিশুটির পরিচয় তিনি জানেন না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন পরিচয়হীন শিশু। ছবি: আমিনুল ইসলাম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন পরিচয়হীন শিশু। ছবি: আমিনুল ইসলাম

ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স সাবিনা ইয়াছমিন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন রেলওয়ে পুলিশের এক সদস্য। তখন থেকে শিশুটি চিকিৎসাধীন। শিশুটি আগের চেয়ে এখন অনেকটা ভালো, সে এখন শুধু তার নাম বলতে পারছে। তার নাম ইব্রাহিম (১০)। এর বেশি কিছু সে বলতে পাচ্ছে না। প্রথমে তার নাকে নল লাগানো হয়েছিল, এখন তা খুলে দেওয়া হয়েছে। মুখ দিয়েই খাচ্ছে।

ইব্রাহিমের পাশের বেডের এক রোগীর স্বজন নুর উদ্দিন বলেন, ‘শিশুটির কেউ নেই। তাই আমরাও তাকে খাওয়াচ্ছি, এক নার্স তাকে গেঞ্জি ও দুধ কিনে দিয়েছেন। আমরা কলা ও নরম খাবার দিচ্ছি।’

এদিকে বুধবার সকালে ১২ বছর বয়সী অজ্ঞাতপরিচয় এক শিশুকে একই ওয়ার্ডে রেখে যায় ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ। শিশুটির মাথায় ও ডান পায়ে ব্যান্ডেজ করা।

কর্তব্যরত নার্স বলেন, শিশুটিকে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভর্তি করা হয়েছে। আনিস নামের এক রেলওয়ে পুলিশ সদস্য তাকে ভর্তি করান। পাশের বেডের এক রোগীর স্বজন মমিনুর বলেন, শিশুটি বলেছে, তার নাম সাইফুল।

ঘটনার সূত্র ধরে কথা হয় ঢাকা রেলওয়ে থানার কনস্টেবল আনিসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার সকালে টহল ডিউটি করার সময় কমলাপুর স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ২৭ নম্বর পিলার বরাবর দুই রেললাইনের মাঝে আহত অবস্থায় পড়ে ছিল ছেলেটি। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। তবে তিনি ছেলেটির নাম-পরিচয় জানেন না।