সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১ দফা সুপারিশ

সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১ দফা সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ-সংক্রান্ত কমিটি।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় সুপারিশগুলো সংযোজন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর আগে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশমালা প্রণয়নে গঠিত কমিটি তার কাছে ১১১টি সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয়। এ সময় কমিটির প্রধান সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়ন করার জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশমালা পেয়েছি। এই ১১১টি সুপারিশ নিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় সুপারিশগুলো সংযোজন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে অনুমোদন করা হবে। সুপারিশগুলো অনুমোদন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কী হবে, সে ব্যাপারেও ওই দিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভায় সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারিতে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ৭টি সভার মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে এবং সুপারিশমালার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ১১১টি সুপারিশ করেছে কমিটি। এর মধ্যে আশু করণীয় ৫০টি ও স্বল্পমেয়াদি ৩২টি এবং দীর্ঘমেয়াদি ২৯টি।

কাদের জানান, সুপারিশমালার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো উঠে এসেছে। যেমন—অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকের অসতর্কতা, সড়ক নির্মাণে ত্রুটি, যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা প্রভৃতি।