কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, এমন আচরণ সহ্য করা হবে না: দুদক চেয়ারম্যান

ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি
ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব, শৈথিল্য, যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, কর্মকর্তাদের এমন আচরণ কমিশন ন্যূনতম সহ্য করবে না। আজ বৃহস্পতিবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সব বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের এসব কথা বলেছেন ইকবাল মাহমুদ।

কমিশনে আসা অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদন্তে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই জরুরি সভা হয়। চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় দুই কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান ও এ এফ এম আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

দুদক চেয়ারম্যান এ সময় বলেন, ‘প্রত্যেক কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করবেন। যাঁরা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন, তাঁরা কোনো ধরনের অনুকম্পা পাবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বারবার আপনাদের সতর্ক করি। তারপরও যখন অভিযোগ আসে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘অনুসন্ধানের টাইমলাইন নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন থেকে যাঁরা টাইমলাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা। কারণ, এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে।’

নথিতে তথ্য চাওয়ার কথা উল্লেখ করে অনুসন্ধান বা তদন্তে দেরি করার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে পরিচালক কিংবা মহাপরিচালক পর্যায়ে তথ্য চেয়ে নথি নিচে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া এটা করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারও গাফিলতি কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে দেওয়া হবে না।’

তিনি সব কর্মকর্তাকে মানুষের সঙ্গে বিনয়ী আচরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূঢ় আচরণের তথ্য আমরা পাই। সতর্ক হোন।’ কমিশনার (তদন্ত) কর্তৃক অসংখ্য মামলার নথি পর্যালোচনার পর যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি উদ্‌ঘাটন করা হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সংশোধন করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান।

কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব নথি আমি পর্যালোচনা করেছি, তাতে যেসব ত্রুটি পেয়েছি, তা কাঙ্ক্ষিত নয়। আপনারা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি দূর করা যেত।’

কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিশনের আইনি ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করা হবে। দুর্বিনীত আচরণ কাম্য নয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে ক্ষমতার দম্ভ থাকে না।