মঠবাড়িয়ায় সাবেক স্ত্রীকে হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন

আদালত
আদালত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়শিংগা গ্রামে সাবেক স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. সাগর সরদার (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাগর সরদারের বাড়ি ভোলার মনপুরা উপজেলার সাকুচিয়া গ্রামে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়শিংগা গ্রামের আবদুল হালিম মৃধার মেয়ে রাবেয়া আক্তারের (৩০) দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন সাগর। বিয়ের পর ওই দম্পতি ঢাকায় বসবাস করতেন। তাদের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে রাবেয়া আক্তার মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর তিনি স্বামী সাগর সরদারকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পরও সাগর বাড়ি নিয়ে যেতে রাবেয়াকে জোর করতেন। কিন্তু রাবেয়া রাজি হননি। ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে সাগর তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় রাবেয়ার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন সাগরকে আটক করে পুলিশে দেয়। আর মঠবাড়িয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর রাবেয়া মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল হালিম মৃধা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় সাগর সরদারকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুবুর রহমান আসামি সাগরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) জহুরুল ইসলাম।