রিফাত শরীফ হত্যা মামলা: অভিযোগপত্র দাখিল হয়নি

রিফাত শরীফ। ফাইল ছবি
রিফাত শরীফ। ফাইল ছবি

বরগুনায় আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আজ বৃহস্পতিবার দাখিল হয়নি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এই তারিখ ধার্য করেন।

আদালত সূত্র জানায়, আজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের ধার্য দিন ছিল। এ জন্য আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আয়শা আক্তারসহ এই মামলার ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে আছে। পরে বিচারক অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য ৩ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আয়শা ও এই মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালতে আনা হয়। প্রথমে ১৩ আসামি এবং পরে আয়শাকে পৃথক প্রিজনভ্যানে আদালতে আনা হয়। প্রিজন ভ্যানটি আদালতের সামনে পৌঁছার পর পুলিশ প্রহরায় চার নারী পুলিশ সদস্য তাঁকে দুই পাশ থেকে ধরে ভ্যান থেকে নামান এবং আদালত কক্ষে নিয়ে যান। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে আবার ওই চার নারী পুলিশ সদস্য ধরে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তুলে ১১টার দিকে কারাগারে নিয়ে যান।

মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন রিফাত শরীফকে। পরে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শাকে। কিন্তু আয়শার শ্বশুর মামলা দায়েরের ১৮ দিন পর গত ১৪ জুলাই এই হত্যাকাণ্ডে আয়শা জড়িত—এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করার পর মামলাটির তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়।

এই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে পুলিশ ৩ জুলাই গ্রেপ্তার দেখায়।

পুলিশ জানায়, এই মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৮ জন এবং সন্দেহভাজন ৭ জন। তাঁরা সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।