রোহিঙ্গা আসায় স্থানীয়দের ভোগান্তি বেশি সহায়তা কম

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা নূরুল হোছেইন। ৮ ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সদস্যসংখ্যা ১০ জন। নূরুল জানান, প্রায় দুই বছর আগে রোহিঙ্গা শিবিরে তাঁর ৬০ শতক জায়গা (লিজ নেওয়া) বেহাত হয়ে গেছে। আগে সেই জমিতে সবজি চাষ করতেন। এখন তা বন্ধ। নূরুল বা তাঁর ছেলেদের অন্য কাজ পাওয়াও কঠিন। কারণ রোহিঙ্গাদের ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দিয়েই কাজ করানো যায়। তাই তাদেরই সবাই কাজে লাগায়।

একই ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা শফিকুল আলম। আগে ট্রাক চালাতেন। এক দুর্ঘটনায় কোমরে আঘাত পান। ফলে ট্রাক চালানো বন্ধ হয়ে যায়। রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে জিনিসপত্রের দাম বাড়াসহ বিভিন্ন সমস্যার প্রভাব দুই সন্তানের জনক শফিকুলের জীবনেও পড়েছে। তাঁর মতে, রোহিঙ্গারা আসার ফলে সব উন্নয়ন হচ্ছে শিবিরগুলোতে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য শুধু নাই নাই অবস্থা। ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, রোহিঙ্গারা আসার ফলে এলাকায় যদি ২০ শতাংশ লাভ হয়ে থাকে তাহলে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ ভাগ।

দুই বছর আগে রোহিঙ্গা শিবিরে লিজ নেওয়া ৬০ শতক জায়গা বেহাত হয়ে গেছে বলে জানান নূরুল হোছেইন। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন
দুই বছর আগে রোহিঙ্গা শিবিরে লিজ নেওয়া ৬০ শতক জায়গা বেহাত হয়ে গেছে বলে জানান নূরুল হোছেইন। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন

দুপুর বেলা। রৈখং বাজারে এলাকার সর্দারসহ কয়েকজন প্রবীণ একটি খাবারের দোকানের বেঞ্চে বসে ছিলেন। চুলায় চায়ের পানি ফুটছে। দোকানের মালিক ফজলুর রহমান বললেন, বর্তমানে সারা দিনে বেচা কিনি ৫০০ টাকায় নেমে এসেছে। অথচ রোহিঙ্গারা আসার আগে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতে থাকত। বলতে গেলে এলাকায় এই বাজারই মূল বাজার ছিল। দুপুরবেলায় ভাত রান্না হতো। এখন চা আর পরোটায় এসে ঠেকেছে। দিনভর ৫ কেজি ময়দার পরোটাও বিক্রি হয় না। দোকানে বসা প্রবীণ সদস্যরা জানালেন, বিভিন্ন জনের প্রায় ৭২ একর জায়গা রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে।

নূরুল হোছেইন, শফিকুলদের ক্ষোভ বা ক্ষতির বিষয়টি জানে কক্সবাজারের প্রশাসন। এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার গবেষণাতেও রোহিঙ্গারা আসার ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষতির পরিমাণ, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে করণীয় চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি), কেয়ার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংস্থা এগিয়েও এসেছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রয়োজন বা চাহিদার তুলনায় তাদের কার্যক্রম অপ্রতুল।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বললেন, ‘মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ফলে প্রায় ৬ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাসা ভাড়া বেড়ে গেছে। মাছ-মাংস চলে যাচ্ছে বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে। স্থানীয় শ্রমিকদের মজুরি কমে যাওয়ায় প্রকৃত আয় কমে গেছে। সামাজিক ক্ষতিসহ অন্যান্য বেশির ভাগ ক্ষতির তো পরিমাপই করা সম্ভব না। তবে এখন পর্যন্ত স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের অবস্থানে ভারসাম্য (ব্যালান্স) রাখা সম্ভব হয়েছে। কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা (আনরেস্ট) তৈরি হলে সামলানো (ম্যানেজ) কঠিন হয়ে যাবে। তাই স্থানীয়দের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আছে।’

মুদির দোকানে শফিকুল আলম। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন
মুদির দোকানে শফিকুল আলম। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন

চলতি বছরের জুলাই মাসে ইউএনডিপি এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআরআই) ‘ইমপ্যাক্টস অফ দ্য রোহিঙ্গা রিফিউজি ইনফ্লাক্স অন হোস্ট কমিউনিটিজ’ শীর্ষক যৌথ গবেষণা অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের জন্য টেকনাফ এবং উখিয়ার দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ করে। স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের সময়ের ৫০ শতাংশই ব্যয় করেন রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ফলে স্থানীয়দের সেবা দিতে দেরি হয়। স্থানীয়দের স্বাস্থ্যসেবা পেতে ৫০ শতাংশ বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ ছাড়া রোহিঙ্গারা বিনা মূল্যে ওষুধ পেলেও স্থানীয়দের কিনতে হয়। অভিভাবকেরা মেয়েদের স্কুলে যেতে নিষেধ করছে। কারণ রোহিঙ্গা আসার পরে অভিভাবকেরা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১১ লাখ। স্থানীয় বিশেষ করে উখিয়া ও টেকনাফের ৫ থেকে ৬ লাখ জনগোষ্ঠী বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

১৫ জুলাই এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর এক পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রোহিঙ্গারা আসায় তাদের আবাসন নির্মাণ ও জ্বালানির জন্য পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়দের ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। এলাকায় বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা বিপথগামী তাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ব্যাপক হারে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে মাদকদ্রব্যের চোরাচালান বেড়েছে। কক্সবাজার জেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি তাদেরও সহায়তা করা প্রয়োজন। পরিপত্রে যেসব এনজিও রোহিঙ্গাদের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব দাখিল করবে তাদের মোট অনুদানের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ অনুদান স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে পৃথকভাবে প্রকল্প প্রস্তাব (এফডি-৭) দাখিল করার কথাও বলা হয়েছে।

গরু পালন করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন আনোয়ারা বেগম। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন
গরু পালন করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন আনোয়ারা বেগম। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন

গত ৩১ জুলাই টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রৈখং, চাকমারকুলসহ বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশীয় বেসরকারি সংগঠনের কার্যক্রমে রোহিঙ্গারা অগ্রাধিকার পেলেও তারা সবকিছু থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের কয়েকজন এ পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছেন। রৈখং, চাকমারকুলসহ বিভিন্ন এলাকার এসব বাসিন্দাদের আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে আইসিআরসি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। যাওয়া যাক সেসব গল্পে।

স্থানীয়দের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
কক্সবাজারের টেকনাফে বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর জীবিকার চাহিদা মেটাতে ও উন্নয়নে আইসিআরসি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি যৌথভাবে গত বছর থেকে ক্ষুদ্র অর্থনৈতিক উদ্যোগ ও জীবিকা উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচি শুরু করেছে। কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় কৃষক, জেলে সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার শর্তসাপেক্ষে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ অনুদান পাচ্ছে যা আর শোধ করতে হচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের আওতায় আনাসহ এই কার্যক্রমটি কক্সবাজারে কর্মরত অন্যান্য মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১ হাজার ৩২৬ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এই কর্মসূচির মাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

ফেরা যাক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা নূরুল হোছেইন ও শফিকুলের কথায়। এখন আইসিআরসি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তা পাচ্ছেন তাঁরা। নূরুলের ছোট একটি মুদির দোকানের বেচা কিনি দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আইসিআরসির পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা পান। তাঁর মতে, ২৫ হাজার টাকা তাঁর কাছে ২৫ লাখ টাকার মতো মনে হয়েছে। কেননা এই টাকা থেকেই পাশেই মুরগির খামার গড়েছেন। ১০ হাজার টাকায় ফ্রিজ কিনেছেন। এখন লাভের মুখ দেখা শুরু করেছেন।

কোমরে আঘাত পাওয়া শফিকুল সহায়তা পেয়ে এখন মুদির দোকান দিয়েছেন। তবে গাড়ি চালালে অনেক বেশি আয় হতো বলে আক্ষেপ থেকেই গেছে।

পুতু বড়ুয়া মাছ ও কাঁকড়া ধরার চাই তৈরি করেন। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন
পুতু বড়ুয়া মাছ ও কাঁকড়া ধরার চাই তৈরি করেন। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা পুতু বড়ুয়া। আগে নাফ নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরতেন। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করেছে। তাই এখন মাছ ধরা বন্ধ। সহায়তায় পাওয়া টাকা দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনে এখন বাড়িতে বসে মাছ ও কাঁকড়া ধরার চাই তৈরি করেন।

রোহিঙ্গা শিবির লাগোয়া চাকমারকুলে গিয়ে কথা হলো স্থানীয় বাসিন্দা রহিমা আক্তারের সঙ্গে। দোলনায় ৬ মাস বয়সী মেয়ে ঘুমাচ্ছে, আর তার পাশেই বসে রহিমা সেলাই করছিলেন। রহিমার আরেক মেয়ের বয়স ৭ বা ৮ বছর হবে। রহিমা জানালেন, শাশুড়িসহ ৫ জনের সংসারের কারেন্ট বিল দেওয়া থেকে শুরু করে বেশির ভাগ খরচই সামলাচ্ছেন তিনি। কাপড় সেলাই করে মাসে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় করছেন। স্বামী এখন আর আগের মতো কাজ পান না। রহিমা আইসিআরসি থেকে ৩০ হাজার টাকা থেকে ইস্ত্রি, টেবিল, কাপড় রাখার জন্য শোকেস বানিয়েছেন বলে জানালেন।

একই এলাকার গিয়াসউদ্দিন আগে কাঠের আসবাবপত্র বানানোর দোকানে সরকারি হিসেবে কাজ করতেন। আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পর এখন নিজেই দোকান দিয়েছেন। মাসে লাভ হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

আর্থিক সহায়তা পাওয়া আনোয়ারা বেগমের দুটি গরু পালছে। গাভি থেকে বাছুর হলেই আয়ের মুখ দেখবেন। তাঁর স্বামী আরেক বিয়ে করে তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন বহু আগে।

সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন রহিমা আখতার। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন
সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন রহিমা আখতার। ছবি: সাবরিনা ইয়াসমীন

কক্সবাজারে আইসিআরসির প্রধান সাবরিনা ডিনাংক বললেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করছে আইসিআরসি। কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি ২০১৪ সাল থেকেই টেকনাফ ও উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্প চলমান। টেকনাফ মিউনিসিপ্যালটির স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেখানকার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠী লাভবান হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো তাদের দক্ষতা উন্নয়ন করে কাজ খুঁজে পায়। ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি পরিচালনা করার পরিকল্পনায় রয়েছে।

সরকারি উদ্যোগ:
স্থানীয় বাসিন্দা আর রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যৌথ মঞ্চ ইন্টার সেক্টরাল কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) এর ২০১৯-এর যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, শরণার্থীশিবিরের ভেতরে এবং বাইরে শরণার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং এনজিও ব্যুরোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বললেন, প্রাথমিক পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয়রা নিজের ঘরবাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছে। ভেবেছিল খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তবে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় স্থানীয়দের উদ্বেগ বাড়ার পাশাপাশি ক্ষতির পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। দক্ষতা উন্নয়নে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউশন তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে। স্থানীয়দের মধ্যে যারা যোগ্য তারা চাকরি বাজারে যাতে বঞ্চিত না হয় সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।