আবারও লাখ টাকা জরিমানা সেই ভুয়া চিকিৎসকের

এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ভুয়া চিকিৎসক মোজাম্মেল হককে (বাঁ থেকে প্রথম)। ছবি: সংগৃহীত
এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ভুয়া চিকিৎসক মোজাম্মেল হককে (বাঁ থেকে প্রথম)। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করায় গত সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন মো. মোজাম্মেল হককে (৪২)। তবে এর পরও শোধরাননি তিনি। তিন দিনও পার হয়নি, একই অপরাধে আবারও লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হলো তাঁকে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর শহরের তরকারি বাজার এলাকায়। জরিমানা দেওয়া ভুয়া চিকিৎসক কেন্দুয়ার বহুলি গ্রামের মো. শাহবুদ্দিনের ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে কেন্দুয়ার বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার খুলে রোগীদের চিকিৎসা করে আসছিলেন। তাঁর ব্যবস্থাপত্র ও সাইনবোর্ডে এমবিবিএসসহ চক্ষুরোগের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক লেখা আছে। অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দুয়ার রামপুর বাজারে তাঁর চেম্বারে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ লঙ্ঘনের অপরাধে মোজাম্মেলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালতের হাকিম ও কেন্দুয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিরিন সুলতানা। কিন্তু এরপরও রোগী দেখা বন্ধ করেননি মোজাম্মেল। গতকাল সন্ধ্যায় কেন্দুয়া মেডিকেল হল নামে একটি দোকানে আবারও অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাতেনাতে ধরে ফেলায় তিন দিনের ব্যবধানে তাঁকে আবারও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান রহুল ইসলাম।

ইউএনও আল ইমরান রহুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসক না হওয়া সত্ত্বেও মোজাম্মেল হক নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে চেম্বার খুলে চোখের চিকিৎসা করে আসছিলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ (১) ও ২৯ (১) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে তাঁকে এই জরিমানা করা হয়।