সাম্প্রদায়িক অপশক্তি শুধু সংখ্যালঘুদের শত্রু নয়, দেশেরও: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে উৎপাটন করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তি শুধু সংখ্যালঘুদের শত্রু নয়, এরা সারা বাংলাদেশের শত্রু। আসুন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে সকলে মিলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করি।’

ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার রাজধানীর পলাশীর মোড়ে ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অসত্য ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের জন্য শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল। তেমনি সুদিনের প্রত্যাশায় সবাইকে শ্রীকৃষ্ণের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার, এই সরকার যত দিন আছে, তত দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় থাকে, তখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের দুর্গোৎসবসহ সব উৎসব অত্যন্ত নিরাপদ পরিবেশে উদযাপন করে থাকেন।’

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায় উন্নীত, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে, সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন নেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের পারস্পরিক গঠনমূলক অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে এবং বিরাজমান অমীমাংসিত সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এ দেশের মানুষ সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় দিক থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সব ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে ধর্মীয় স্বাধীনতা উপভোগ করছে। এ দেশের যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে, তা উপমহাদেশে অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়।

আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহকে টার্গেট করে সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, উল্লেখ করে তিনি সব ধর্মাবলম্বীর প্রতি আহ্বান জানান, ‘তারা যেন প্রিয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেন যাতে আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দেন।’

ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল, সারা বিশ্ব এটা জানে। অসাম্প্রদায়িক দেশ দেখতে হলে এ দেশে আসতে হবে। যেকোনো ব্যক্তির ধর্মীয় ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এখানে সব ধর্মের মানুষ সুন্দর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে।

জন্মাষ্টমীর মিছিলটি পলাশী থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।