নিখোঁজের দুই দিন পর পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকে মিলল যুবকের লাশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে দুদিন আগে নিখোঁজ হওয়া এক যুবকের লাশ একটি বাসার ছাদের পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকে পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে নগরের চকবাজার থানার ডিসি রোডের একটি বাসার ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ উদ্ধার হওয়া যুবকের নাম মো. ফাহিম। নগরের চান্দগাঁও এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে তিনি।

নিহত যুবকের পরিবার ও পুলিশ জানায়, আমদানি পণ্য খালাসে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টে ফাহিম চাকরি করতেন। সম্প্রতি চাকরি হারানোর পর ডিসি রোড এলাকায় বেশির ভাগ সময় চাচার বাসায় থাকতেন তিনি। গত ২০ আগস্ট সকালে চাচার বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি ফাহিম। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্র বলছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে ডিসি রোডের আবু কলোনিতে একটি দোতলা বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে চকবাজার থানা-পুলিশ এসে দোতলা বাড়িটির ছাদে পরিত্যক্ত একটি পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে ফাহিমের লাশ উদ্ধার করে। দোতলা বাড়িটিতে ছোট ছোট কক্ষে পোশাক শ্রমিকসহ চাকরিজীবীরা ভাড়া থাকেন। বাড়িটির মালিক সেখানে থাকেন না। কোনো প্রহরীও নেই। ওই বাড়িটির পাশেই ফাহিমের চাচার বাসা। ফাহিমের লাশ কীভাবে দোতলা বাড়িটির পানির ট্যাংকের ভেতর গেল, তা কেউ বলতে পারছেন না।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকের ওপরে টিন দিয়ে ঘর করে ভাড়া দেন মালিক। কয়েক মাস ধরে ওই ঘরে কোনো ভাড়াটিয়া ছিল না। আশপাশ থেকে কিছু লোকজন এসে প্রায়ই ওই ঘরে আড্ডা দিতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ফাহিম সেখানে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন। কিংবা তাঁকে সেখানে ডেকে নিয়ে কেউ খুন করতে পারেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। ফাহিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

ফাহিমের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, কী কারণে তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে, বুঝতে পারছেন না। খুনের রহস্য উদঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।