বুলগেরিয়ার উদ্দেশে উড়াল সান্ত্বনার

সান্ত্বনা রানী রায়
সান্ত্বনা রানী রায়

২১তম বিশ্ব আইটিএফ তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে লালমনিরহাটের মার্শাল আর্ট–কন্যা সান্ত্বনা রানী রায় অবশেষে উড়াল দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে বিমানযোগে তিনি বুলগেরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। দেশটির প্লবদিব শহরে আজ শনিবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা হবে।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইটিএ) চারজন সদস্য অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা হলেন আইটিএর মহাসচিব বাংলাদেশ দলের কোচ ও ব্যবস্থাপক সোলায়মান সিকদার, লালমনিরহাট তায়কোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সান্ত্বনা রানী রায় এবং খেলোয়াড় রহমত উল্লাহ ও আয়েশা সিদ্দিকা। তাঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন গতকাল ভোরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন। আয়েশা গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে অপর একটি উড়োজাহাজে করে ঢাকা ছাড়েন।

এর আগে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দলের সদস্যদের খরচ বাবদ ২ লাখ ৭০ হাজার করে টাকা বিআইটিএর মহাসচিব সোলায়মান সিকদারের হাতে দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ক্যামব্রিয়ান স্কুলের শরীরচর্চা বিভাগের শিক্ষক সান্ত্বনার পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ অবস্থায় ১১ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘মার্শাল আর্ট-কন্যা সান্ত্বনার বুলগেরিয়া যাওয়া হবে না?’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে সান্ত্বনার সঞ্চিত ৪০ হাজার টাকা এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আতাউর রহমান প্রধান লালমনিরহাট তায়কোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক হিসাবে ৮০ হাজার টাকার একটি চেক দেওয়ার তথ্য জানানো হয়। সংবাদে আরও দেড় লাখ টাকা সংস্থানের উপায় না থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ দেড় লাখ টাকা সান্ত্বনার ব্যাংক হিসাবে জমা করে।

সান্ত্বনা রানী রায় রওনা দেওয়ার আগে প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশের পর বিকাশ ছাড়াও বিএসবি ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান এম কে বাশার ৪০ হাজার টাকা, শিল্পপতি ও সমাজসেবক রবিন খান ২৪ হাজার টাকা, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর ১০ হাজার টাকা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায় ১০ হাজার টাকাসহ অনেকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারকে যাঁরা আর্থিক সহায়তা করেছেন, তাঁদের প্রতি এবং প্রথম আলো পরিবারের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমিসহ অন্যদের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমরা প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।’