সরকারের ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

সরকারের ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ, রোহিঙ্গার বিষয়ে সরকার মিয়ানমারের কাছে ‘নতি স্বীকার’ করেছে। শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, তাদের নিরাপত্তা, নিজের সম্পত্তির মালিক হয়ে বাসভূমিতে ফিরে যাওয়া—এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়নি বলেই আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা রাখাইনে যায়নি।

রোহিঙ্গা সমস্যার কীভাবে সমাধান হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, এই সমস্যার সমাধানে প্রথমত সব দলের সঙ্গে সংলাপ করা। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের কী করতে হবে। প্রথমে দরকার ছিল সরকারপ্রধানের সেই সব রাষ্ট্র সফর করা, হেড অব দ্য স্টেটের সঙ্গে দেখা করা, যারা মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেটা সরকার করেনি। বরং মিয়ানমার যে ফর্মুলাগুলো দিচ্ছে, সেগুলো তারা নিচ্ছে। এখানে বোঝা যায় তারা বাংলাদেশের ইন্টারেস্টটা সেভাবে দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ঢাকায় যে শোভাযাত্রা করার কথা ছিল, তা পরিবর্তন করে ২ সেপ্টেম্বর করার সিদ্ধান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে হয়েছে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলোচনা সভা হবে। বৈঠকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর​ শেষে যৌথ বিবৃতি না আসা নিয়ে আলোচনা হয়। স্থায়ী কমিটি মনে করে, ​দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কী হয়েছে, তা থেকে জাতিকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা নিয়ে নতুন করে ভাবার যে কথা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তা নিয়ে স্থায়ী কমিটির উদ্বেগ আছে। কমিটির সদস্যরা মনে করেন, চলমান একটি বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবার কথা অন্য আশঙ্কা জাগায়।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও সদস্যদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।