এক বছর পর হারানো মাকে ফিরে পেলেন মেয়েরা

বিবিয়া খাতুন
বিবিয়া খাতুন

এক বছর আগে বড় মেয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হন মা বিবিয়া খাতুন (৯০)। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারপরও মায়ের আশা ছাড়েননি মেয়েরা। মাঝেমধ্যে নানা স্থানে খুঁজেছেন মাকে। অবশেষে ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানা-পুলিশের সহায়তায় মাকে ফিরে পেয়েছেন তাঁরা।

জানা গেছে, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সাহাভিকারী এলাকার হাদিসের রহমানের স্ত্রী বিবিয়া খাতুন (৯০) গত এক বছর নিখোঁজ ছিলেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। গতকাল শনিবার বিকেলে সোনাগাজী মডেল থানা-পুলিশ বিবিয়া খাতুনকে তাঁর ছোট মেয়ে ছেমনা খাতুন ও বড় মেয়ে কমলা খাতুনের কাছে হস্তান্তর করে।

বিবিয়া খাতুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে চট্টগ্রামের মেহেদী নগরে বড় মেয়ে কমলা খাতুনের বাসায় যান বিবিয়া খাতুন। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার বারোকোয়াটার এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক আবদুল জাব্বার ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা আক্তার বিবিয়া খাতুনকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেন। মানসিক ভারসাম্যহীন বিবিয়া খাতুন ঠিকানা বলতে না পারায় গত এক বছর তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন। তবে তাঁর কাছে নাম–পরিচয় জানার চেষ্টা করলে তিনি একবার নিজের নাম আর সোনাগাজী এ দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন। গত কয়েক দিন আগে তাঁরা সোনাগাজী থানায় যোগাযোগ করেন। এরপর গত শুক্রবার রাতে তাঁরা বৃদ্ধ বিবিয়া খাতুনকে নিয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় আসেন। থানা-পুলিশ বিবিয়া খাতুনের ছবি তুলে সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়িয়ে দেন। স্থানীয় কয়েকজন লোকও তাঁর ছবি ফেসবুকে ছাড়িয়ে দেন। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিবিয়া খাতুনের মেয়েরা থানায় ছুটে আসেন। পরে পুলিশ বিবিয়া খাতুনকে তাঁর মেয়েদের হাতে তুলে দেয়।

 সোনাগাজী মডেল থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিবিয়া খাতুন মানসিক রোগী হওয়ায় পথ ভুলে চট্টগ্রামে হারিয়ে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেখে তাঁর মেয়েরা তাঁকে খুঁজে পেয়েছেন।