হাসপাতালে রোগীর ওপর খসে পড়ল পলেস্তারা

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতল ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে এক রোগী আহত হয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতল ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে এক রোগী আহত হয়েছেন। ছবি: প্রথম আলো

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক বৃদ্ধ রোগী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত আবদুল মান্নান মীরের (৮৪) বাড়ি কচুয়া উপজেলা সদরে। গত বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হন।

ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার খবর পেয়ে আজ কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তাঁরা ওই ভবনে আর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা না করারও সুপারিশ করেছে।

কচুয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বেলফার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আবদুল মান্নান গতকাল রাতে পুরুষ ওয়ার্ডে তাঁর নির্ধারিত শয্যায় ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে তাঁর গায়ের ওপর ছাদের পলেস্তারার কিছু অংশ খসে পড়ে। মশারি টানানো থাকায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হয়। খসে পড়া কংক্রিটের আঘাতে তিনি মাথা, বুক ও হাতে আঘাত পান। পরে তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত।

হাসপাতালের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সত্তরের দশকে নির্মিত হাসপাতালের এই পুরাতন ভবনটিতে ৫০ শয্যার পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড আছে। দীর্ঘদিন ধরেই ভবনের জীর্ণ অবস্থা। বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানের পর বছর দুই আগে দ্বিতীয় তলার ছাদের ওপর একটি জলছাদ করে সংস্কার করা হয়। কিন্তু তারপর আর কোনো কাজ হয়নি।

ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন জিকেএম শামসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটিকে আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়নি। রাতে ওই দুর্ঘটনার খবর জানানো হলে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।