পদ্মায় তীব্র স্রোত, দৌলতদিয়া ঘাটে তিন কিলোমিটার যানজট

পদ্মায় স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি পারাপারে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। এ কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার গাড়ির জট তৈরি হয়েছে। দৌলতদিয়া, রাজবাড়ী, ২৫ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো
পদ্মায় স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি পারাপারে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। এ কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার গাড়ির জট তৈরি হয়েছে। দৌলতদিয়া, রাজবাড়ী, ২৫ আগস্ট। ছবি: প্রথম আলো

তিন দিন ধরে নতুন করে পদ্মা নদীতে পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। এতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গাড়ি পারাপার ব্যাহত হওয়ায় আজ রোববার বিকেলে দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় তিন কিলোমিটার গাড়ির জট দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় থেকে জানানো হয়, শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় পদ্মায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। আজ সকালে প্রায় ৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি বাড়ায় নদীতে স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। স্রোতের তীব্রতার সঙ্গে পেরে না ওঠায় দুটি ফেরিকে ঘাটে বসিয়ে রাখা হয়েছে। বাকি ফেরিগুলোর গতিও ধীর হয়ে গেছে। এতে গাড়ি পারাপারের আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। এ কারণে ঘাটে গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।

সরেজমিনে রোববার দুপুরে দৌলতদিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলো সহজে দৌলতদিয়া ঘাটে ভিড়তে পারছে না। বিশেষ করে ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ঘাটে পানির চাপ থাকায় ফেরি ভিড়তে বেশি সময় লাগছে।¯স্রোতের উজানে সহজে চলতে না পেরে ১ ও ২ নম্বর ঘাটে শিগগিরই কোনো ফেরি ভিড়তে চাইছে না। এতে করে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হওয়ায় ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা গাড়ির লাইন তৈরি হয়েছে। এসব গাড়ির মধ্যে বেশির ভাগ ছিল যাত্রীবাহী বাস।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহাবুব আলী সরদার বলেন, তিন দিন ধরে নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে¯স্রোতের গতিও অনেক বাড়ছে। এতে করে স্বাভাবিক গতিতে ফেরি যানবাহন পারাপার করতে পারছে না। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সকালে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার পরিবহনগুলো দুপুরের দিকে ঘাটে পৌঁছানোয় অতিরিক্ত চাপ পড়েছে।