সেতু থেকে নামতে লাগে বাঁশের সিঁড়ি
সেতুর গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে পৌনে এক বছর আগে সংযোগ সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেতুটি। পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে পাকা সেতুর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বাঁশের সিঁড়ি। এভাবেই কোনো রকমে যোগাযোগব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে।
এই হাল চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নারায়ণহাট ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে বালুখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটির। এটি চার গ্রাম-চানপুর, শৈলকুপা, ধলিপাড়া ও মুন্সিপাড়ার প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সংযোগ সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ। বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে উঠে হেঁটে সেতু পার হচ্ছে স্থানীয় লোকজন।
চানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আইনজীবী মুহাম্মদ আবছার উদ্দিন বলেন, সেতুটি সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন থাকায় মানুষের চরম দুর্ভোগ যাচ্ছে। বেশি বৃষ্টি হলে তখন বাঁশের সিঁড়ি বেয়ে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে পড়ে।
একই কথা বলেন শৈলকুপা গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. গিয়াস উদ্দিনও। তিনি দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি জানান।
হালদা ভ্যালী চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সড়কটি সচল না হওয়ায় চা-বাগানের সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ। পার্শ্ববর্তী সড়কে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে এখন যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সেতু নির্মাণের ঠিকাদার মুহাম্মদ মহসিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ২ কোটি ১৫ লাখ ৩১ হাজার ১২৭ টাকা ব্যয়ে ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে।
একই সময় সেতুর দুই পাশে তৈরি করা হয় সংযোগ সড়ক। কিন্তু সংযোগ সড়ক ধরে রাখার প্রতিরোধ দেয়াল তৈরির বরাদ্দ ছিল না। নির্মাণের পরপর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সংযোগ সড়কের প্রায় ২০ ফুট বিলীন হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রয়োজনে ব্লক বসিয়ে দিয়ে মাটি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে। ফলে এলাকার লোকজনের সমস্যা এবার লাঘব হবে।