ঋণ জালিয়াতি: ফেয়ার ইয়ার্নের এমডিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি) শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জসিম উদ্দিনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ব্যাংকটির প্রায় ২৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আজ সোমবার তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহেই তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।

বিকেবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ফেয়ার ইয়ার্নের নামে ব্যাংক থেকে ২৬০ কোটি ১৮ লাখ টাকা বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ২০১৭ সালের ৪ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার পরপরই ওই দিন গভীর রাতে দুদকের উপপরিচালক মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে গুলশানের বাসা থেকে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহারে আসামি করা হয়, ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জসিম উদ্দিন, পরিচালক (জসিম উদ্দিনের স্ত্রী) ইয়াসমিন আহমেদ, রোজবার্গ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হজরত আলী, বিকেবির কারওয়ান বাজার শাখার সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জুনায়েদ মনজুর, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) মো. আবুল হোসেন এবং প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) গোলাম রসুল।

অভিযোগপত্রে এই ছয়জনের সঙ্গে বিকেবির কারওয়ান বাজার শাখার সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. সারোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। দুদক সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে তাঁর নাম আসায় তাঁকেও আসামি করা হয়।

মামলার সূত্র জানায়, বিকেবির ঋণখেলাপিদের মধ্যে সবার শীর্ষে ছিল ফেয়ার ইয়ার্ন প্রসেসিং। ২০০৯-১০ সময়ে কারওয়ান বাজার শাখা থেকে এ প্রতিষ্ঠানটিকে ঋণ দেওয়া হয় এবং ঋণ নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি কোনো টাকা ব্যাংককে ফেরত দেয়নি।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিকেবির কারওয়ান বাজার শাখার কর্মকর্তারা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটিকে ঋণ দিয়েছেন। তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে ২৬০ কোটি ১৮ লাখ ৪ হাজার ৪৪৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।