যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। গতকাল রোববার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি হলেন টেকনাফের জাদিমোরা ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের সি-ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (২০)। তিনি যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। হ্নীলার জাদিমোরা পাহাড়ে পাদদেশে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আসামিরা অবস্থান করছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহমদ, কনস্টেবল বাহার উদ্দিন ও লিটন দাস আহত হলে তাঁদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খান এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রাতে পুলিশ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁর শরীরে তিটি গুলি লেগেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সোমবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ হাসানকে রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফে হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও জাদিমোরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুককে (৩০) তাঁর বাড়ির সামনে থেকে রোহিঙ্গা ডাকাত সরদার মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের পশ্চিম পাশের পাহাড়ের কাছে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা মোহাম্মদ মোনাফ কোম্পানি বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে টেকনাফ থানায় ১৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।