গৃহবধূ ধর্ষণ ও অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ, পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) চাষাঢ়া থেকে ওই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এনামুল হক।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই কনস্টেবলের নাম সাব্বির আহম্মেদ মেহেদী। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন নৌ পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ মালিগাঁও এলাকায়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ দুই সন্তানকে ঢাকার একটি স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসার সময় সাব্বির আহম্মেদ মেহেদীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ আগস্ট সাব্বির তাঁকে মুঠোফোনে ফোন করে জানান, জরুরি কথা আছে। তখন গৃহবধূ তাঁর ভাইয়ের বাসা নারায়ণগঞ্জে আছেন বলে জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সাব্বির একটি সফট ড্রিংকসের বোতল নিয়ে গৃহবধূর ভাইয়ের বাসায় যান। সফট ড্রিংকস খাওয়ার পর গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। তখন বাসায় কোনো লোকজন না থাকায় সাব্বির তাঁকে ধর্ষণ করেন এবং অশ্লীল ছবি তুলে রাখেন।

এরপর অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি। একপর্যায়ে অশ্লীল ছবির ভয় দেখিয়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন সাব্বির। মানসম্মানের ভয়ে ওই গৃহবধূ তাঁকে দুই লাখ টাকা দেন। এমনকি গৃহবধূর স্বর্ণালংকারও হাতিয়ে নেন তিনি। পরবর্তী সময়ে সাব্বির আরও এক লাখ টাকার জন্য চাপ দেন। ১১ আগস্ট বিকাশের মাধ্যমে তাঁকে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর সাব্বিরকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গৃহবধূর মুঠোফোনে অশ্লীল ছবিগুলো পাঠিয়ে দেন। এসব ছবি তাঁর স্বামীর মুঠোফোনসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ওই গৃহবধূ আইনের আশ্রয় নিয়ে থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।