রাস্তা বন্ধ করলেন কাউন্সিলর

সাতক্ষীরা ইসলামপুর থেকে আমতলা যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম। গত রোববার তোলা।  ছবি: প্রথম আলো
সাতক্ষীরা ইসলামপুর থেকে আমতলা যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম। গত রোববার তোলা। ছবি: প্রথম আলো

সাতক্ষীরায় রাস্তা আটকে দেওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম তাঁর চিংড়িঘের রক্ষায় ওই রাস্তা আটকে দিয়েছেন। 

ওই রাস্তা দিয়ে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা করত শতাধিক শিক্ষার্থী। রাস্তা আটকে দেওয়ায় এসব শিক্ষার্থী বিপাকে পড়েছে।  

পৌরসভার বাঁকাল ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন, মোমেনা খাতুন, আবদুস সালাম বলেন, তাঁদের সন্তানেরা কুকরালী আহম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেজওয়ারডেঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য ইসলামপুর থেকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুলের ঘেরের মধ্য দিয়ে রাস্তা রয়েছে। কিন্তু কাউন্সিলর শহীদুল ওই রাস্তা আটকে দিয়েছেন। অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হাঁটা পথে ২০ মিনিটের সময় লাগছে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। ফলে তাঁদের ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না অধিকাংশ দিন। 

কুকরালী আহাম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা খাতুন ও সোনিয়া খাতুন বলে, ঘেরের মধ্যের রাস্তা দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। আর অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এ ছাড়া অন্য রাস্তাটি ফাঁকা হওয়ায় মাদ্রাসায় যেতে ভয় লাগে। যে কারণে ঠিকমতো মাদ্রাসায় যাওয়া হচ্ছে না।  কুকরালী আহম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার জাহাঙ্গীর মোর্ত্তজা রেজা বলেন, কাউন্সিলর শহীদুলের দুই পাশের ঘেরের মাঝখানের রাস্তা দিয়ে আমতলা এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলছে। তাঁরা চেষ্টা করেও বিষয়টির সমাধান করতে পারছেন না। বর্তমানে
তাঁর প্রতিষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে আসছে না। 

কাউন্সিল শহীদুল রাস্তা বন্ধ করার কথা স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন ওই রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে ভেঙে তাঁর ঘেরের ক্ষতি হবে। তিনি রাস্তায় মাটি দিচ্ছেন। একটু রোদ হলেই রাস্তা খুলে দেবেন। এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে আমতলা এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। এই রাস্তা আপনি বন্ধ করতে পারেন কি না—এমন প্রশ্ন করলে শহীদুল বলেন, ‘ওই সব প্রতিষ্ঠান তো আমাদের। প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবে, আমি তা চাইনে। তবে ওই জমি আমার। বললাম তো রাদ উঠলে খুলে দেব।’