আশুগঞ্জে কলেজছাত্র হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কলেজছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুই আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম এ আদেশ দেন।

সাইফুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার মাধুরপাড়া গ্রামে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন মো. দিদারুল আলম, মো. মামুন মিয়া, মো. নাহিদ মিয়া ও মো. আনিসুর রহমান। তাঁরা সবাই আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া এজাহারভুক্ত আসামি মো. মোহন মিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং মো. শ্যামল মিয়াকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তাদের দুজনকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদেশ দেওয়ার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামেদের কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন, মো. আলামিন, মহসিন মিয়া, শেরদিন মিয়া, মো. জসিমউদ্দিন, মো. আরফিন, মো. শাকিল, ছবির হোসেন ও রহমত উল্লাহকে মামলার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন কলেজছাত্র সাইফুল। পরের দিন নিহতের চাচা মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দুই আসামি মারা যাওয়ায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ মোল্লা ২০১৩ সালের ৪ জুন ১৪ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নিহতের চাচা ও মামলার বাদী মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। তবে রায়ের নথি পাওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আদালত যে রায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’