রুমিন হয়তো সহজ জিনিসটা বুঝতে পারেনি: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের একমাত্র সাংসদ রুমিন ফারহানার সরকারের কাছে প্লট চাওয়া নিয়ে বিতর্কের মধ্য এ নিয়ে কথা বলেছেন তাঁর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নিজ দলের নেতা-কর্মীদের রুমিনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে না লিখতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, রুমিন কোনো অন্যায় করেনি। সে হয়তো সহজ জিনিসটা বুঝতে পারেনি।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবর ১০ কাঠা প্লট চেয়ে আবেদন করে দল ও দলের বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েন রুমিন ফারহানা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হয়। আজ সে আবেদন তিনি প্রত্যাহারও করে নেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে পাগলের মতো ওই ফেসবুকে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। আপনাদের দেখতে হবে মূল লক্ষ্যে আমরা যাচ্ছি কিনা। কেউ একটা ছোট ভুল করে ফেলল তোমার তো তাকে এখনই কবর দিয়ে দিতে হবে না। দেখতে হবে সে এখন কী কাজ করছে। সে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য কাজ করছে- এটা হচ্ছে মূল কথা।’

বিভিন্ন গণমাধ্যমেও রুমিনের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রুমিন তো অন্যায় করেনি। হতে পারে এই সহজ জিনিসটা বুঝতে পারেনি।’ মির্জা ফখরুল, নিজ দলের সমর্থকদের ফেসবুকে রুমিন বা নিজেদের কারও বিরুদ্ধে লিখতে ও মন্তব্য না করার আহ্বান জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা করলে ক্ষতি আন্দোলনের হবে।

ফেসবুকে না থেকে জনগণকে রাজপথে নেমে আন্দোলন করার কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে।

কাজী জাফর আহমদকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরেন।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, জাতীয় ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। রাষ্ট্র এক ব্যক্তির দখলে চলে গেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই স্বৈরাচার, মিথ্যাবাদী ও ভোট ডাকাতের বিরুদ্ধে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।

জাতীয় পার্টি(কাজী জাফর) এর চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের পরিচালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।