সবাইকে নৌকায় নেওয়ার প্রয়োজন নেই: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদেরকে দেখতে হবে কারা দুঃসময়ে দলের সঙ্গে ছিলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। তাঁদেরই নেতৃত্বে রাখতে হবে, তাঁদের নিয়ে পথ চলতে হবে।’

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় সচিবালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ পরপর তিনবার ক্ষমতায়। সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চান, যাঁরা অতীতে ও দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরাও আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চান। সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’

শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে তারা হত্যা করেছে, যারা বাংলাদেশ চায়নি। যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাদের এদেশীয় এজেন্টরা এবং যে আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজকের সময়ের দাবি হচ্ছে, জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব ছিল, তাদের বিচার। জাতির দাবি হচ্ছে, শতবর্ষ পরের প্রজন্মকে সত্য জানানোর স্বার্থে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এ জন্য আজকে জনগণের দাবি হচ্ছে, একটি কমিশন গঠন করে তাদের বিচার করা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালে, তখন বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ৪২ বছর পরও তা আমরা অতিক্রম করতে পারিনি। আমরা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শেখ হাসিনা সেটি অতিক্রম করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালে হত্যা করা হয়, সেই বছর ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত। বঙ্গবন্ধু কদিন পরেই ঘোষণা করতেন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠিত করে যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের অগ্রগতির ঘূর্ণমান চাকাকে আবার ধাবমান চাকায় রূপান্তরিত করেছেন। বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের মহাসড়কে অদ্যম গতিতে এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটি পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। বাংলাদেশ আজকে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এ জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, বুদ্ধিজীবীরা আক্ষেপ করে বলেন, সব সামাজিক সূচকে, অর্থনৈতিক সূচকে, মানব উন্নয়ন সূচকে আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছি।’