শেখ হাসিনার মাঝে বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার পেয়েছি: গণপূর্তমন্ত্রী

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সম্মেলনকক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ২৭ আগস্ট। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি
জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সম্মেলনকক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সেগুনবাগিচা, ঢাকা, ২৭ আগস্ট। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাঙালি জাতির অস্তিত্বের উৎস হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা দ্বিতীয়বার পেয়েছি। শেখ হাসিনার মাঝে আমরা খুঁজে পাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি, খুঁজে পাই বাঙালি জাতির অস্তিত্বের উৎস।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে গণপূর্ত অধিদপ্তর এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও ত্যাগ না থাকলে বাংলাদেশ হতো না। জাতিকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য, ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত বিপ্লব সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য ষড়যন্ত্র, আক্রমণ, আঘাত সবকিছু থেকে থেকে শেখ হাসিনা রক্ষা পেয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব পাওয়া আমাদের জাতির জন্য গৌরবের।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে ইন্ধনদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। যে ‍জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর বদান্যতায় বীর উত্তম উপাধি দেওয়া হয়েছিল, একের পর এক পদোন্নতি দিয়ে মেজর জেনারেল করা হয়েছিল। সেই জিয়াউর রহমান অমানবিক, অকল্পনীয় পশুপ্রবৃত্তির মানসিকতার কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য সৈনিকদের অনুমতি দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে স্যালুট করতে সামনে যেতে পারতেন না, তিনি ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে চাবিকাঠি নেড়েছেন। এ জন্য তাঁকে বলা হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুনর্বাসন করেছেন, খুনিদের বিচার করার পরিবর্তে হাইকমিশনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ৩১ ডিসেম্বর জেলখানার গেট খুলে দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী সাজাপ্রাপ্ত, বিচারাধীন ও তদান্তাধীন সবাইকে ছেড়ে দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স পার্লামেন্টে পাস করেছেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কারণে জাতি কতটা পিছিয়েছে তা আমরা আজ উপলব্ধি করতে পারছি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজ বাংলাদেশ থাকত সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার চেয়ে উন্নত। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যেত। বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে একটা জাতীয় ধারণা থাকতে হবে। তার আগেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো।’

আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম বলেন, খালেদা জিয়াও জিয়াউর রহমানের পথ ধরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর সরকার আমলে শেখ হাসিনাসহ সম্পূর্ণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রেনেড হামলার আয়োজন করেছেন। জঙ্গিদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। ২১ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য জজ মিয়া কাহিনি তৈরি করেছেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক খুরশিদ জাবিন হোসেন তৌফিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।